বুধবার, ১ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালালমোহনে ছাত্রের সাথে সমকামীতার অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমের স্ব-ইচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালালমোহনে ছাত্রের সাথে সমকামীতার অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমের স্ব-ইচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যাহতি।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,মিজানুর রহমান লিপু : লালমোহনে ছাত্রের সাথে সমকামীতার অভিযুক্ত সেই শিক্ষক নিজ থেকে চাকুরী ছেড়ে পালিয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক সেনা কর্মর্কতা রফিকুল ইসলামের সাথে আলাপ কালে বলেন ছাত্রের সাথে সমকামীতার কথোপকথনের অডিওটির অল্পকিছু শুনেই আমি প্রমান পেয়ে গেছি। আমি খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসলে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন স- ইচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যহতি চায়। আমি সাথে সাথে তার চাকুরী থেকে অব্যাহতি পত্রের আবেদন মঞ্জুর করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পরবর্তী পদক্ষেক নেওয়ার নির্দেশ দেই। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক তার সন্তানের চিকিৎসার কারনে ঢাকায় আছে। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে আসলে তার অব্যহতির ব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বিদ্যালয়ের নিয়মিত হাজিরা খাতায় দেখা যায় অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ২৫ ও ২৬ জুলাই দুই দিনের অনুপস্থিত ও শনিবার থেকে খাতায় কোন স্বাক্ষর বা অনুপস্থিতির চিহ্ন নেই।
এদিকে বিদ্যালয়ের ছাত্র/ ছাত্রী , অভিবাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রের সাথে সমকামীতার প্রস্তাব কারী শিক্ষককে দ্রুত বিদ্যালয় থেকে চুড়ান্তভাবে বরখাস্ত ও তার বিরুদ্বে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ লালমোহনের কর্তার হাট বাজারের রমাগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন একই প্রতিষ্টানের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রের সাথে অপকর্ম করে আসছিল । জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ঐ ছাত্রের সাথে শিক্ষক জসিম উদ্দিনের ১৭ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কথোপকথনের অডিও ফাসঁ হলে সাথে সাথে সেটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অডিও আলাপে বুঝাযায় শিক্ষক জসিম বিভিন্ন সময় এই ছাত্রের সাথে বলৎকারের মত অপকর্ম করে আসছে। বিষয়টি সাথে সাথে এলাকায় ছড়িয়ে পরলে শিক্ষক জসিমের বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং শিক্ষকতার পেশাকে কলংকৃত করার অপরাধে তাকে চাকরী থেকে বরখাস্ত সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
খোজ নিয়ে জানাযায় শিক্ষক জসিমের বিরুদ্বে এর পূর্বেও অনেক অপকর্মের অভিযোগ ছিল। বিদ্যালয়ের প্রধানের ভাই হওয়ায় তার বিরুদ্বে কেই মুথ খুলতে পারেনি। এব্যাপারে স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।