মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বিভাগের খবর | রাজনীতি | রাজশাহী | শিরোনাম | সর্বশেষ » দন্ডপ্রাপ্ত আওয়ামীলীগ প্রার্থী বৈধ, বিএনপি প্রার্থী কেন অবৈধ? বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক দুলু।। লালমোহন বিডিনিউজ
দন্ডপ্রাপ্ত আওয়ামীলীগ প্রার্থী বৈধ, বিএনপি প্রার্থী কেন অবৈধ? বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক দুলু।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নাটোর প্রতিনিধি : বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল ও আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বৈধতা দেয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, হাজী সেলিম, পঙ্কজ দেবনাথ সাজাপ্রাপ্ত আসামী আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পায়। তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে তাহলে বিএনপি প্রার্থীরা কেন করতে পারবো না?
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা থাকার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি বাতিল করেন।
মঙ্গলবার ৪ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান দুলু।
দুলু বলেন, হাজী সেলিম সাহেব ১৩ বছরের জেল নিয়ে যদি নির্বাচন করতে পারে, পঙ্কজ দেবনাথ আমার সঙ্গে দুদকের মামলায় প্রায় দুই, আড়াই বছর জেলে ছিলেন। দুদকের মামলায় তারও ১২ বছরের জেল আছে। তাহলে পঙ্কজ দেবনাথ, হাজী সেলিম যদি নির্বাচন করতে পারে। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ইকবাল হাসান টুকুসহ বিএনপি নেতারা কেনো নির্বাচন করতে পারবেন না?
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে এই রকম ষড়যন্ত্র হবে ধারনা করেই এক আসেন একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপির অনেকেরই মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে দেখলাম আওয়ামী লীগ ঘরানার একজন পত্রিকার সম্পাদক বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার পরে একসঙ্গে এতোগুলো মনোনয়নপত্র কখনো বাতিল হয়নি।
অর্থাৎ সরকার ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির মতো একটা নির্বাচন চেয়েছিল। বিএনপি যেনো নির্বাচনে না আসে। তাহলে ৫ বছরের জন্য তারা আবার ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে।
দুলুর মনোনয়ন পত্র কেন বাতিল করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমার নাকি মামলা আছে। আমি দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। কিন্তু গত একবছর আগে আমি এটা সাসপেনশন করেছি এবং সাসপেনশন করলে নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নাই।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যেহেতু সরকার আমাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগই দেয়নি। রিটার্নিং অফিসারের কাছে আমরা যখন কাগজ জমা দিতে গেছি। আমরা জানতে চেয়েছি, কি কারণে আমাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হলো? বলল, আপনারা আপিলে গিয়ে এই কথাগুলো বলুন।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই- সরকার যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, আমরা বিশ্বাস করি, যে সমস্ত অভিযোগে অভিযুক্ত করে আমাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই এগুলো তদন্ত করে, দেখে আমাদের মনোনয়নপত্র বহাল করবেন। এ কারণে আমাদের দল বিভিন্ন এলাকায় দুই, তিনজন করে প্রার্থী দিয়েছে। নিশ্চয়ই আপনারা আশ্চার্য হয়েছেন। এর পেছনে কারণই ছিল এটা। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, বিএনপির প্রার্থীদেরকে বাতিল করা হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করলাম । এখানে সুবিচার না পেলে আদালতে আপিল করবো।