বোরহানউদ্দিনে সরকারি বই কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ।।লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ,বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিনে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্বে মাধ্যমিক স্তরের এনসিটি’র উদ্বৃত্ত প্রায় ৫ টন বই নিলাম ছাড়াই কালোবাজারে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা বিষয়টি ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নাছির‘র উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে দায়মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ওই বইগুলো গোডাউন থেকে খালাস করা হয়েছে। তবে উপজেলা টেন্ডার কমিটি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এমন দাবী তাদের। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের এনসিটিবির আসা বইগুলো বিভিন্ন স্কুলে বিতরণের পর উদ্বৃত্ত বইগুলো ২টি গোডাউনে সংরক্ষণ করা হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই বইগুলো নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ছুটির দিন কালো বাজারে বিক্রয় করে দেন। উপজেলা টেন্ডার কমিটি দরপত্র আহবানের মাধ্যমে পুরাতন বই বিক্রয়ের নিয়ম থাকলেও তিনি নিজেই ওই কমিটিকে এড়িয়ে কাজটি করেন। কালোবাজারে বই বিক্রয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষা কর্মকর্তা তারই অফিসের ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা নাছির বইগুলো বিক্রয় করেন বলে জানান। গোডাউন এর চাবি নাছির কিভাবে পেল কিংবা বই বিক্রয়ের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ হলো না , এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। প্রায় ৫ টন বই ছাপাখানার লোকজনের কাছে বিক্রিয়ের অভিযোগ উঠে শিক্ষা অফিসার ও অফিসের পিয়ন নাসির’র বিরুদ্ধে। স্থানীয় অনেকেই এ বই গুলো ঠিক জুম্মার নামাজের সময় তড়িঘড়ি করে ট্রাক ভর্তি করে দ্রুত নিয়ে যেতে দেখেন। বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পিয়ন মো: নাসির জানান, বই বিক্রি’র বিষয়টি শিক্ষা অফিসার স্যার জানেন। স্যার কে জিজ্ঞাসা করেন। আমি কিছুই জানি না। বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বিশ্বাস জানায়, অল্প পরিমান বই বিক্রয় করা হয়েছে। যার মূল্য ১০ হাজার টাকা। নিলামে বিক্রয়ের কোন নিদ্দেশনা ওই দপ্তরের জন্য প্রযোজ্য নয়। অফিসের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নাছির বইগুলো বিক্রয় করেছেন বলে তিনি দাবী করেন।