বুধবার, ৪ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাশনে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের।।লালমোহন বিডিনিউজ
চরফ্যাশনে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভুষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে স্কুল ছাত্রী আয়শাকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় শশীভূষণ থানায় নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এসিডে দগ্ধ আয়শা চরফ্যাসন হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া এসিডে ঝলসানো মুখমন্ডল নিয়ে ভবিশ্যত দুঃস্বপ্নে আয়েশার পরিবার। তার বাবা বাবুল মেয়ের চিকিৎসা ও ভবিষ্যত নিয়ে গভীর উৎকণ্ঠায়। এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় নারী নির্যাতন মামলা দায়ের হওয়ায় তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তার মতে পুলিশ যা ভাল মনে করেছে তা-ই করেছেন।
রবিবার রাতে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় গত সোমবার রাতে ৬ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় নারী শিশু আইন মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে দুর্বৃত্তরা ভিক্টিমকে ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে তার অঙ্গ প্রতঙ্গ বিকৃত করণের উদ্দেশ্যে এক ধরনের বিষাক্ত তরল দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এতে তার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হানিফ শিকদার জানান, দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে ভিক্টিম কিশোরীর মুখমন্ডলসহ শরীর কিছু অংশ ঝলসে গেছে। এতে উক্ত কিশোরীর মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ভিক্টিমকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ প্রযোহ্য না হওয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আলোচিত এই মামলায় ৬ জনের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে অপর আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ অনুযায়ী এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার কেবলমাত্র ধারা ২৩ এর অধীন গঠিত এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য হবে।
যদি কোন ব্যক্তি কোন এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে এমনভাবে আহত করেন যার ফলে তার-
(ক) দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নষ্ট হয় বা মুখমন্ডল, স্তন বা যৌনাংগ বিকৃত বা নষ্ট হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকার অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
(খ) শরীরের অন্য কোন অংঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহা হলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক চৌদ্দ ব্ছর বা সাত বৎসরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদন্ডে ও দন্ডনীয় হবেন।