শনিবার, ১২ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে জিপিএ ৫নিয়ে টানাটানি,পরের মাথায় লবন রেখে বড়ই খাচ্ছে হামিম একাডেমী।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে জিপিএ ৫নিয়ে টানাটানি,পরের মাথায় লবন রেখে বড়ই খাচ্ছে হামিম একাডেমী।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,লালমোহন প্রতিনিধি : লালমোহন সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ ৫ নিয়ে উপজেলার আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হা-মিম একাডেমীর টানাটানিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে জনমনে।
জানা যায়, মো: রুহুল আমীন’র পরিচালনায় বে সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লালমোহন হা-মিম একাডেমী অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি নিয়ে এসএসসি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কে পাঠদান করাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ কে মুগ্ধ ও আকৃষ্ট করতে ভাল ফলাফলের ব্যাপক প্রলোভন ও প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার নামে নিজের ব্যবসায়িক মনোবাসনা পূর্ণে লিপ্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠান পরিচালক রুহুল আমিন।
এসএসসি অনুমোদনহীন এ প্রতিষ্ঠান উপজেলার আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিদ্যালয় থেকে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে তাদের শিক্ষার্থীদের কে পরীক্ষা দেয়াচ্ছেন। ফল প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই ব্যবসায়ীক মিথ্যে প্রচারণায় নেমে পড়েন পরিচালক।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কিছ অসাধূ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ম্যানেজ শিক্ষার্থীদের হাতে নকল ও বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে শতভাগ পাশসহ জিডিএ ৫ প্রাপ্ত হয় হামিম একাডেমী। গত বছর পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও নির্বাহি অফিসারের কঠিন পদক্ষেপের জন্য নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে জিপিএ ৫ শূণ্যসহ ফল বিপর্যয়ে পড়ে হামিম একাডেমী নামক প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মহলসহ সকলের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ ও প্রকাশিত হয়।
এ বছর সদ্য প্রকাশিত হওয়া এসএসসি ফলাফলে নিজেদের শতভাগ পাশ ও ৩২ জনের জিপিএ ৫ নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়ে অভিভাবক আকৃষ্টে নেমে পড়ে হামিম একাডেমী নামক প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি তাদের ৮৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ২০১৮ তে অংশগ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে ৬১জন শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন হয় আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবং কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণ করে ২২ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে সর্বমোট ১১৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে। আশ্রাফ নগর প্রতিষ্ঠানের প্রধান মো: কামরুল ইসলাম তার ফেজবুক পেজে উল্লেখ করেন, তাদের ১১৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০৬ জন উত্তীর্ণ ও ৬ জন অকৃতকার্য হন এবং ২৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ অর্জণ করে।
অপরদিকে আশ্রাফ নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে নিজেদের ৬১ জন শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করিয়ে ২৭ জনের জিপিএ ৫ নিজেদের বলে প্রচারণা চালাচ্ছে হামিম একাডেমী। দু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমন প্রচারণা এবং জিপিএ ৫ নিয়ে টানাটানিতে দ্বিধায় অভিভাবকগণ।
হামিম একাডেমীর এমন প্রচারণায় ” পর মাথায় লবন রেখে বড়ই খাচ্ছে হামিম একাডেমী” বলে মন্তব্য করছেন অভিভাবকগণ।