সোমবার, ৯ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে পুজাখালী স্কুল ছাত্রীকে শারীরীক নির্যাতনের তদন্ত।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে পুজাখালী স্কুল ছাত্রীকে শারীরীক নির্যাতনের তদন্ত।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,মিজানুর রহমান লিপু: লালমোহনে পুজাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তয় শ্রেনীর ছাত্রীকে শারীরীক নির্যাতন করায় সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করল উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহমেদ। গত সোমবার দুপুর ২ টায় তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নির্যাতিত ছাত্রী লিপা, তার মা,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একই সময় ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষিকা সহ অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বলেন ও তাদের লিখিত বক্তব্য নিয়ে আসেন। জানাযায়, শিক্ষক জসিম উদ্দিন এলাকায় তার বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের প্রাইভেট কোচিং করান। যে সকল ছাত্রছাত্রী তার কাছে প্রাইভেট না পড়ে তাদেরকে টার্গেট করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি সহ শাররীক নির্যাতন করে। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তার বদমেজাজের কারনে সব সময় ভয়ে আতংকে থাকে। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাকসুদ বলেন, ঘটনার পর শির্ক্ষার্থী নিপাকে দোকান থেকে বরফ এনে তার কপাালে অনেকক্ষন ধরে মালিশ করাই। এব্যাপারে লিপার পালিত বাবা আমাকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে। আমি ঘটনা সম্পর্কে আমাদের ক্লাষ্টারের দায়িত্বে থাকা এটিও হোসেন স্যারকে সাথে সাথেই অবগত করি। উল্লেখ গত ৭ এপ্রিল শনিবার পুজাখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাষন্ড শিক্ষক জসিম উদ্দিন ক্লাস চলাকালীন সময় তয় শ্রেনীর ছাত্রী লিপাকে ব্যাপক শাররীক নির্যাতন করে। ঐদিন গনিত ক্লাসের সময় লিপা অমনোযোগী ছিল এমন অজুহাতে শিক্ষক জসিম তাকে কিল , ঘুষি সহ বেঞ্চের সাথে একের পর এক ধাক্কা দিতে থাকে। বেঞ্চের ধাক্কায় লিপার কপাতে মারাত্বক আঘাত লাগে এবং তার কপাল ফুলে যায়। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহমেদ বলেন, আমি ঘটনা তদন্ত করেছি। প্রাথমিক তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া যায় । ছাত্রী লিপা, তার পালিত মা, অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও প্রধান শিক্ষক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের লিখিত বক্তব্য এনেছি। আরো তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য গত শনিবার বাবা, মা, হারানো তয় শ্রেনীর ছাত্রী লিপা শিক্ষকের নির্যাতনে কপালে ব্যাপক ফুলা জখম হয় যা তিন দিন পর আজ তদন্তের সময় শিক্ষা অফিসার স্বচোখ্যে দেখতে পেয়েছেন বলে প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেন। ঘটনা সম্পর্কে বিদ্যালয়ের সভাপতি তোফাজ্জল চেয়্যারমান বলেন বিষয়টি আমি পরোক্ষভাবে শুনেছি। তার বিরুদ্বে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে । এই শিক্ষক জসিম ইতি পূর্বে মুগুরিয়ায় চরমিয়াজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে মারায় বাবা অভিযোগ করায় বাবাকেও মেরেছে । পাষন্ড শিক্ষক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুষ্টান্তমূলক ও প্রশাসনিক শাস্তির ব্যাবস্থা সহ সকল প্রকার শিশু নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।