
শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যুর ১১ মাস পর মামলা, অাতঙ্কে এলাকাবাসী।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যুর ১১ মাস পর মামলা, অাতঙ্কে এলাকাবাসী।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা এক বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ১১ মাস পর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিতে এই মামলায় সন্দেহ বাজন আসামী করা হয়েছে জেলা যুবদলের এক নেতা সহ আরো অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার পর থেকে গা ডাকা দিয়েছে ওই ইউনিয়নের বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা। এঘটনায় অাতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল ২০১৭ ইং বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চরকুমারিয়া গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের আঃ রহমানের সুপারি বাগানের মধ্যে অজ্ঞান অবস্থায় একই এলাকার আঃ মোতালেবের ছেলে রুবেল (২৩) নামের এক বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে তখন কোন মামলা দায়ের করা না হলেও ঘটনার প্রায় ১১ মাস পর গত ১০/৩/২০১৮ ইং তারিখে ভোলা মডেল থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং ২১/১৫১। এই মামলায় একই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জেলা যুবদলের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ফরহাদ হোসেন টিটব মুন্সি ও পাশবর্তী ৪ নং ওয়ার্ডের আবু সর্দারের ছেলে মনির হোসেনকে সন্দেহ করে তাদের নাম এজাহারে উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। এর পর মনিরকে গ্রেফতার করায় অতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
উদ্ধার করী আবুল কাশেম বলেন, ঘটনার দিন বাগান দিয়ে রাস্তায় আসার সময় দেখেন রুবেল একই এলাকার আঃ রহমানের সুপারি বাগানের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন দেখে রুবেলের মা তফুরা বেগম ও বোন রহিমাকে বিষয়টি তিনি বাড়ি এসে জানালে তাদের সহযোগীতা রুবেলকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে পল্লী চিকিৎসক আঃ মালেককে এনে পরিক্ষা করা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত রুবেলের বাবা আঃ মোতালেব ও বোন রহিমা বেগম বলেন, ফরহাদ হোসেন টিটব মুন্সি রুবেল এর হত্যার সাথে জড়িত নয়। ঘটনার দিন আজিজলের ছেলে জাহাঙ্গির রুবেলকে দিয়ে দিনবর সুপারি গাছ থেকে খোল (মরা ডাল) পারিয়েছে। হয়ত রুবেল গাছ থেকে পরেও মারা যেতে পারে। এদিকে জাহাঙ্গির রুবেলকে দিয়ে সুপারি গাছের ডাল পারানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
২ নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার জামাল উদ্দিন বলেন, যুবদল নেতা টিটব মুন্সি এ ঘটনার সাথে কোন ভাবে জড়িত নয় তাকে প্রতিহিংসার বসত তৃতীয় পক্ষ হয়রানী করার জন্য এই মামলায় জড়িত করেছে।
জেলা যুবদলের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ফরহাদ হোসেন টিটব মুন্সি অভিযোগ করেন, আমি ঘটনার সাথে কোন ভাবে জড়িত না থাকা সত্বেও রাজনৈতি প্রতিহিংসার কারণে আমাকে হয়রানী করার জন্য এই মমলায় জড়ানো হচ্ছে। আমি এর সুস্থ্য তদন্ত ও সু বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে মামলার বাদী এসআই আমিনুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখি এড়িয়ে যান।
এদিকে এই মামলায় অহেতুক কাউকে হয়রানি না করে সুস্থ্য তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।