শনিবার, ১৭ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাশনে “লিভ টুগেদার”, বিয়ের দাবিতে যুবতীর আত্মহত্যার চেষ্টা।। লালমোহন বিডিনিউজ
চরফ্যাশনে “লিভ টুগেদার”, বিয়ের দাবিতে যুবতীর আত্মহত্যার চেষ্টা।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, চরফ্যাশন প্রতিনিধি : লিভ টুগেদার’ প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। আগে ঢাকার অভিজাত পরিবারের মধ্যে এই প্রবণতা সীমাবদ্ধ ছিল। বাঙালি সমাজে পাশ্চাত্যের তথাকথিত সভ্যতার অনুপ্রবেশ ঘটায় লিভ টুগেদারে মধ্যবিত্ত ঘরের যুবক-যুবতীরাই এখন বেশি আগ্রহী হয়ে শহর থেকে গ্রামে প্রবেশ করেছে। ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের ফারুক মাতাব্বরের মেয়ে সামসুন্নাহার (২৫) ও বাচ্চু মিয়ার মধ্যে বিয়ে ছাড়া হানিমুন ষ্টাইলে জীবন যাপন করার পর বিয়ের দাবি আদায়ে প্রেমিকা সামসুন্নাহার গত ১৫ই মার্চ, ২০১৮ তারিখে প্রেমিক বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে বিষপানের নাটকের তথ্য পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় সামসুন্নাহারকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরোজমিনে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে ফুফাতো ভাই জামালের সাথে সামসুন্নাহারের বিয়ে হয়। সেখানে তার জুই নামে ৭ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।স্বামীর বিরুদ্ধে মাদকাসক্তের অভিযোগ তুলে এক বছর আগে সে স্বামী জামালকে তালাক দেয়। স্বামীকে তালাক দিয়ে সামসুন্নাহার সৌদি আবর পাড়ি জমান। সৌদি আরব একই সাথে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাচ্চুর স্ত্রী। বাচ্চুর স্ত্রী আর সামসুন্নাহার সৌদি আরব একই জায়গায় থাকেন। সে সূত্রে বাচ্চুর সাথে সামসুন্নাহার আলাপচারিতার পথ ধরে মন বিনিময় হয়।
সামসুন্নাহারের স্বজন জানান- মনবিনিময়ের পর গত ৬ মাস আগে বাচ্চু বিয়ের আশ্বাসে সামসুন্নাহারকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। দেশে আসার পর বাচ্চু-সামসুন্নাহার হানিমুন ষ্টাইলে জীবন যাপন শুরু করেন। তারপর বিয়ের প্রস্তাব দিলে বাচ্চু টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বার পর্যন্ত গড়ায়, কিন্তু তারা কোনো ফয়সালার ব্যাবস্থা করেননি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি মেম্বারের তথ্য মতে, সামসুন্নাহার এই ব্যাপারে মোখিকভাবে অভিযোগ করেছিল এবং তাকে শালিসের একটি তারিখ ও দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু তার প্রেমিক বাচ্চু মিয়ার মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কারণে তারিখটি বিলম্বিত হয়।
এতে সামসুন্নাহার অধৈর্য্য হয়ে এই কান্ডটি ঘটিয়েছেন।
স্থানীয়রা সামসুন্নাহারের এই আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাটি প্রেমিক বাচ্চু মিয়াকে চাপে রাখার জন্য আত্মহত্যার নাটক হিসাবে মনে করেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেমিক বাচচু গা-ঢাকা দিয়েছে, তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।