শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ওসি হুমায়ুনের দুর্ণীতি তদন্তের দাবি নির্যাতিত লালমোহন বাসীর।।লালমোহন বিডিনিউজ
ওসি হুমায়ুনের দুর্ণীতি তদন্তের দাবি নির্যাতিত লালমোহন বাসীর।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : ওসি হুমায়ুন কবির। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে লালমোহন থানায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে লালমোহনে নিরীহ মানুষের উপর চলে তার রাম রাজত্ব। বিনা অপরাধে ধরে এনে নির্যাতন ও চাঁদা আদায়। অনাদায়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া। এমন অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্বে ও মিথ্যে মামলায় জড়ানোর ভয়ে মুখ খোলেননি কেউ। অবশেষে তার বদলী আদেশ ও লালমোহন থানার গাছ কেটে নিজের ফার্নিচার তৈরী নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই তার হাতে নির্যাতিত সাধরণ মানুষ মুখ খুলতে শুরু করে।
উপজেলার চরভুতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলমগীর’র ছেলে ও লালমোহন বাজারের মোটর পার্টস বিক্রেতা মো. ফরিদ লিখেছেন, থানায় আমাকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে ঢেকে নিয়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ওসি হুমায়ুন কবির।
সাংবাদিক এম ইউ মহিম ণিখেছেন, একটি মিথ্যে মামলা দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এবং ওই মামলাটি এখনো পেন্ডিং রেখে গেছেন।
শাকিল খাঁন নামের একজন লিখেছেন, আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।
জাহিদ হাসান সোহাগ লেখেছেন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আমার কাছ থেকে ৫হাজার টাকা নিয়েছে।
কবির মাতাব্বর লিখেছেন, মিথ্যে মামলা থেকে বাঁচতে সুদে ধার করে টাকা এনে দিয়েছি যা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি।
ব্যবসায়ী ফরিদ লিখেছেন, লুডু খেলা থেকে চারজন রিক্সাচালককে আটক করে জেলে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছেন সদ্য বিদায়ী ওসি হুমায়ুন কবির।
উপজেলার ধলীগৌরনগর ৪নং ওয়ার্ডের হোন্ডাচালক জসিম বলেন, রাতে আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয় ওসি হুমায়ুন। আমাকে ইয়াবা বিক্রেতা সাজিয়ে মেম্বার জাকির কে ডিলার বানানোর জন্য বলে। আমি স্বীকার না করায় আমাকে ব্যাপক মারধর করে। পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ৩৫হাজার টাকা নেয় কিন্তু আমাকে না ছেড়ে সকালে কোর্টে চালান করে ওসি।
এমন অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্বেও কেন তার অপকর্ম তদন্ত করছেন না উর্ধতন কতৃপক্ষ এমন আক্ষেপ প্রকাশ করে তার অপকর্মের তদন্ত ও তার সম্পদের খোঁজ নিতে দুর্ণীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওসি হুমায়ুন কর্তৃক নির্যাতিত লালমোহনের এসকল ভুক্তভোগী মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে সাধারণ মানুষের এসকল অভিযোগ ছাড়াও ওসি হুমায়ুন কবির লালমোহন কর্তব্যরত থাকাবস্থায় ধর্ষণ মামলার আসামী ধরে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে মর্মে যমুনা টেলিভিশন ও যুগান্তর পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছে।
লালমোহন পৌর ৪নং ওয়ার্ড এলাকা কবির হাওলাদার কে গ্রেফতার করে ক্রশফায়ারের হুমকি দিয়ে ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মর্মে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
তার এসকল অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় এজন্য সবসময় সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে।
ওসি হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের দুর্ব্যবহার করতেন বিষয়টি স্বীকার করে ফেজবুকে কমেন্টস করেন লালমোহন থানায় কর্মরত দুজন পুলিশ অফিসার ।
সদ্য বদলী হওয়া ওসি হুমায়ুন করিরের ঘুষ দুর্ণীতি ও সম্পদ তদন্তের জোড়ালো দাবিতে সোচ্চার লালমোহনবাসী।