মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় | মুক্তমত | রাজধানী | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস প্রত্যাখ্যান, প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা ছাড়া অনশন ভঙ্গ নয়- আন্দোলনকারী শিক্ষকরা
শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস প্রত্যাখ্যান, প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা ছাড়া অনশন ভঙ্গ নয়- আন্দোলনকারী শিক্ষকরা
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দেয়া আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নন-এমপিওভুক্তি শিক্ষক-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা ছাড়া অনশন ভাঙ্গবে না বলে তারা জানান ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছান। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সবমিলিয়ে মিনিট বিশেক সেখানে অবস্থান করেন মন্ত্রী, কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গেও।
তবে সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী চলে গেলে ফের আগের মতো বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষকরা। অনশনও অব্যাহক রেখেছেন তারা।
মূলত মন্ত্রীর কাছে সুনির্দিষ্ট একটি তারিখ চেয়েছেন শিক্ষকরা।
প্রেসক্লাবরে সামনে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী বলেন, গতকাল রাত দেড়টা পর্যন্ত অর্থমন্ত্রীর সাথে আমি ও সচিব বৈঠক করেছি। সেখানে অর্থমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ২০১০ সালের পর থেকে নতুন করে যে এমপিওভুক্তি দেয়া বন্ধ ছিল তা ফের চালু করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাই আপনারা আর কষ্ট করবেন না। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের এমপিওভুক্তি করা হবে। এ লড়াই আপনাদের না,এ লড়াই আমাদের।
তবে শিক্ষামন্ত্রীর এ কথা শুনেই বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষকরা। ‘মানি না, মানব না’ বলে এমপিওভুক্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়ের দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা।
এরপর মন্ত্রী চলে যান প্রেসক্লাবের সামনে থেকে। মন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও কর্মকর্তারা ছিলেন।
এমপিওভুক্তির দাবিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করে আসছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা।
আমরণ অনশন ও অবস্থান ধর্মঘটের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। তবুও ২০১৬-১৭ আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা বাড়তি ভাতার ব্যবস্থা করতে কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি।
এ কারণে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। তাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে ৩১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন করেন তারা।