বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় | জেলার খবর | রাজধানী | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » হারুন-অর-রশিদ সরকারের আজ্ঞাবহ, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ- আদালতে খালেদা জিয়া ।। লালমোহন বিডিনিউজ
হারুন-অর-রশিদ সরকারের আজ্ঞাবহ, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ- আদালতে খালেদা জিয়া ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেছেন আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসরন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল।
সে অনুযায়ী বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ১১টা ৩০ মিনিটে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেয়া শুরু করেন।
এ বক্তব্যে তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নূর আহমেদ আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেননি।
কিন্তু মামলার দ্বিতীয় তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপর বিচারক খালেদার কাছে জানতে চান- আপনি দোষী না নির্দোষ?
জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
এরপর বিচারক খালেদার কাছে জানতে চান- আপনি কি সাফাই-সাক্ষী দেবেন? খালেদা জবাব দেন- আমি সাফাই সাক্ষী দেব।
এরপর বিচারক জানতে চান- এ মামলাতেও অরফানেজ মামলার মতো খালেদা ধারাবাহিক বক্তব্য দেবেন কি না? খালেদা উত্তরে বলেন, আমি ধারাবাহিক বক্তব্য দেব।
কোনো কাগজ-পত্র দেবেন কি না- আদালতের এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, প্রয়োজনে দেব। এদিন এ দুই মামলাতেই খালেদার পক্ষে স্থায়ী জামিনের আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে দিয়ে বিচারক বলেন, খালেদা যেভাবে আছেন, সেভাবেই থাকবেন।
এরপর দুই মামলাতেই খালেদার বক্তব্যের জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
ফাইল ছবি,