
শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | রাজধানী | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » নাগরিক সমাবেশে না আসলে চাকরি চলে যাবে ও বেতন কাটা যাবে- মির্জা ফখরুল
নাগরিক সমাবেশে না আসলে চাকরি চলে যাবে ও বেতন কাটা যাবে- মির্জা ফখরুল
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশে স্কুল-কলেজ এবং ব্যাংকগুলো চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে সমাবেশে আসতে হবে। না আসলে ব্যাংকে কর্মরতদের চাকরি চলে যাবে ও বেতন কাটা যাবে’ এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আজকে বড় একটি সমাবেশ হচ্ছে। এটা নাকি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সমাবেশ। ৭ মার্চের ভাষণের উপর ইউনেস্কোর পুরস্কারের জন্য এই সমাবেশ।
ভালো কথা অত্যন্ত আনন্দের কথা। কিন্তু প্রত্যেকটি স্কুল ও কলেজকে চিঠি দিয়েছেন না আসলে চাকরি থাকবে না। ব্যাংকের লোকজনকে চিঠি দিয়েছে না আসলে ৫ দিনের বেতন কাটা যাবে। সবাইকে এই কথা বলে এখানে নিয়ে আসছেন।
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে ভাসানী স্মৃতি সংসদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে দেখে এসেছি বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদেরকে সমাবেশে নেওয়া হচ্ছে।আমাদের তো আপত্তি নেই। কিন্তু কী গেইন করছেন? একটি মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছেন। মিথ্যা দিয়ে সব ঢেকে দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করার তাই করছেন আপনারা। ভাসানী প্রথম স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন
ভাসানীর স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ভুলে যাইনি যে ভাসানী প্রথম স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তিনিই প্রধাম পাকিস্তানকে আসসালামু আলাইকুম বলেছিলেন। ফখরুল বলেন, যে আ্ওয়ামী লীগ তৈরি হয়েছিল মওলানা ভাসানীর হাত ধরে আজকে তারা তাদের জন্মদাতাকেই ভুলে গেছেন।
ভাসানীকে এই সরকার ভুলে যেতে পারে, কিন্তু দেশের মানুষ তাকে ভুলবে না। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ ‘আগামী নির্বাচনে এ দেশের মানুষ সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দেখতে চায়’ বলেও উল্লেখ করে ফখরুল। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে এখন থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহ্বান জানান তিনি।