সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বোরহানউদ্দিন | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় আতংকে সংখ্যালঘু শিক্ষক পরিবার, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় আতংকে সংখ্যালঘু শিক্ষক পরিবার, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নেরর কুঞ্জের হাট এলাকার চকঢোষ গ্রামে সংখ্যালঘু এক শিক্ষক পরিবারের উপর একের পর এক হামলা মামলা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কোনো মুহুর্তে তাঁদের প্রাণ নাশ হতে পারে এমন আতংকে তারা চরম নিরাপত্ত্বহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি ভয়ে ঠিক মতো ওই শিক্ষক স্কুলেও যেতে পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে.জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে নাছির উদ্দিন বাচ্ছু নামে এক প্রভাবশালী ওই শিক্ষক পরিবারের ওপর মামলা-হামলা, ফসল লুটসহ নানা রকম নির্যাতন করে আসলেও থানায় মামলা দিলেও পুলিশ তা গ্রহন করেনি। উল্টো ওই স্কুল শিক্ষককে তার বাপদাদার ভিটামাটি থেকে উৎখান করার জন্য মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অসহায় এই স্কুল শিক্ষক এখন বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার শিবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেপাল চন্দ্র দে(৫১) নিরুপায় হয়ে সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কাচিয়া ইউনিয়নের চকঢোষ মৌজার সাবেক ১৫৯ নম্বর খতিয়ানে পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে এক একর ৯৫ শতাংশ জমির মালিক হয়েছেন। তাঁর ৪৮ শতাংশ জমি নাছির উদ্দিন গং র্দীঘ দিন ধরে জোর করে ভোগ দখল করছেন। এ জমি নিয়ে তিনি আদালতে বাটয়ারা মামলা করেছেন। ২০০৩ সালে নাছির উদ্দিন গং চাচা কালী মোহনের ছেলে হারাধনসহ শরিকের জমি কেনেন। সেই থেকে তাঁর ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এ পর্যন্তু কমপক্ষে ৪০ বার হামলা করেছে। ৪টি মামলা করেছেন। সর্বশেষ ৪ নভেম্বর ৪০ শতাংশের জমির সুপারি পেরে নেয়। বাঁধা দিলে নাছির গ্রুপের ৪০-৫০জন তাঁদের ধাওয়া করে মারতে থাকে। ওই সময় বাঁধা দিতে গেলে নেপালের স্ত্রী ইন্দ্রিরা রানী দেকে ধাওয়া করে মারপিট করে। তারা পাশের ইউনিয়ন টবগীর মুলাইপত্তন লিংকনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সে বাড়িতেও সন্ত্রাসীরা হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নেপাল থানায় মামলা দিলেও পুলিশ তা রেকর্ড করেনি। অথচ নাছির উদ্দিন আদালতে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করছেন। নেপাল আরও বলেন, নাছির গংয়ের লোকজন স্কুলে যাওয়ার পথে ভয়ভীতিসহ নানা কথা বলে গায়ে হাত তোলেন। বাড়ির পুকুরের মাছ, খেতের ফসল লুটে নিচ্ছে। পুকুরে বিষ প্রয়োগ করছে। অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করছে। সন্ত্রাসীদের অত্যাচার নির্যাতনে সন্তানদের এলাকা থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন। হামলা-মামলাকারীরা তাঁদেরকে উৎখাত করার লক্ষ্যেই একের পর এক হামলা মামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সুপারি বাগানের ভিতরে একটি পুরাতন টিনশেড বিল্ডিং। তারপাশে নাছির উদ্দিন টিনের ঘর তুলেছেন। স্থানীয় লিঙ্কন দে, জামাল মাতব্বরসহ একাধিক ব্যাক্তি বলেন, তারা শিক্ষিত ও নিরিহ লোক। নেপালের পক্ষে কেউ কিছু বললে নাছির গ্রুপ তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিচ্ছে। এ জন্য নেপালের ওপর নির্যাতন দেখেও কেউ মূখ খুলছে না।
অপর দিকে নাছির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা নেপালের স্বজনদের কাছে এক একর ৪৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। সব টুকুই তাঁদের দখলে আছে। জমির ফসল পারতে গেলেই নেপাল চাঁদা চাইছে, বাঁধা দিচ্ছে। তাই মামলা দিয়েছেন। এ ব্যপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ফোন পেয়ে পুলিশ নেপালকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু তারা কোন এজাহার পাননি। নাছির উদ্দিন আদালতে মামলা করেছেন। সেই মামলার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালত থেকে থানায় কাগজ এসেছে।