শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় নতুন গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন চলছে।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় নতুন গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন চলছে।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের অনুসন্ধান কূপ শাহাবাজপুর ইষ্ট-১ থেকে পরীক্ষা মূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স জানিয়েছে, গত ২৩ আগষ্ট প্রাথমিক ভাবে এই কুপ থেকে সাত শত বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। যা সকাল থেকে এ পর্যন্ত উত্তোলিত গ্যাসের পরিমান ২ ঘন্টায় ২৫ মিলিয়ন ঘন ফুট হওয়ায় কর্তৃপক্ষ আশা করছে এ কুপ থেকে কাক্সিক্ষত গ্যাস পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক মূল্য হবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশী । তবে এর পরিমান কম-বেশী হতে পারে বলে জানিয়েছে বাপেক্স।
তারা আরও জানায়, শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের চারটি কুপ থেকে দৈনিক ৮০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু দুটি কুপ থেকে দৈনিক ৪০-৪১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সুন্দরবন কোম্পানিকে দেয়া হয়। যা দিয়ে ভোলায় অবস্থিত ২২৫ মেঘাওয়াট ও ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টসহ ভোলার আবাসিক চাহিদা পুরণ করা হয়। কিন্তু নতুন ক্ষেত্রটি পুরোপুরি চালু হলে গ্যাস উৎপাদন হবে দৈনিক ১০০ মিলিয়ন। যা সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে দিয়েও ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট অবশিষ্ট থেকে যায়। যা দিয়ে ভোলায় ছোট ও মাঝারি আকারের শিল্প প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব। কিন্তু ভোলায় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় ওই গ্যাস ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. নওশাদ ইসলাম জানান, শাহাবাজপুর ইষ্ট-১ গ্যাস ক্ষেত্রটি অনুসন্ধানমূলক ক্ষেত্র ছিলো। ২০১৫ সালে ত্রি-মাত্রিক ভূ-কম্পনের মাধ্যমে নতুন এ ক্ষেত্রটি চিহ্নিত করা হয়। আমরা তিনটি টার্গেট নিয়ে এ কুপটি খনন করি। আজ উদ্বোধনের পর আমরা প্রাথমিক যে তথ্য পাচ্ছি, এতে বলা যায় এ কুপটি ভালো গ্যাস মওজুদের স্থান। নিকট অতীতে এরকম ভালো মওজুদের কুপ আমরা আবিষ্কার করিনি।
তিনি আরও জানান, কুপটি চালু হওয়ার দুই ঘন্টার মধ্যে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এটি ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা যে সম্ভাবনাটি করেছি সেটি আরও জোড়দার হয়েছে। ৩-৪ দিন পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে তার পর আমরা এ ক্ষেত্রের মওজুদসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবো।
আশা করা য়ায শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের সব কয়টি কুপ মিলে এই গ্যাস ক্ষেত্রটির মজুদ এক ট্রিলিয়ন ঘনফুট ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে
উল্লেখ্য, ভোলার শাহাবাজপুরে ১৯৯৪ সনে প্রথম ৩৯০ বিসিএফ গ্যাস আবিস্কার হয়। বর্তমানে দেশের ২৬টি গ্যাস ক্ষেত্রের মধ্যে ভোলা শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ ৫ম।