শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরায় বয়স প্রতারনা করে সরকারী চাকুরী তদন্তে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
মনপুরায় বয়স প্রতারনা করে সরকারী চাকুরী তদন্তে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট
লালমোহন বিডিনিউজ, মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক পদে মোঃ ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে বয়স গোপন করে সরকারী চাকুরী নেওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম মাতাব্বর। মঙ্গলবার ওই অভিযোগ তদন্ত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হালিম। এর আগে ২০১৫ সালে একই অভিযোগ করেন ওই পদের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মোঃ নোমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১৮ সেপ্টম্বরে উপজেলা অফিস সহায়ক পদে ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর উল্লেখ করা হয়। তখন অফিস সহায়ক পদে বর্তমানে কর্মরত মোঃ ইসমাইল হোসেন ছমেদপুর বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালের অষ্টম শ্রেণীর সনদ দিয়ে আবেদন করেন এবং পরে নিয়োগ পান। ওই সনদে জন্ম তারিখ ৩১ জুলাই ১৯৮৭ অনুযায়ী তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছর। কিন্তু অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এস.এস.সি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ওই সমস্ত সনদে তার জন্ম তারিখ ৩১ জুলাই ১৯৭৭। এছাড়াও তার ভোটার আইডি কার্ডে একই জন্ম তারিখ। তবে এস.এস.সি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সনদ ও ভোটারকার্ড অনুযায়ী চাকুরীর আবেদন ও নিয়োগ সময় অভিযুক্ত মোঃ ইসমাইল হোসেনের বয়স ছিল ৩৭ বছর।
অভিযোগকারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম মাতাব্বর বলেন, অফিস সহায়ক ইসমাইল হোসেন বয়স গোপন করে ৩৭ বছরে সরকারী চাকুরী নিয়েছেন। যা সরকারী চাকুরী আইনের পরীপন্থী। এছাড়াও ইসমাইল হোসেনর মেয়ে ভোলা কলেজে অর্নাস পড়ে। তার মেয়েরে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি সনদ ও ভাটার আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৯৬ ইং। তাহলে ইসমাইল হোসেনর জন্ম ১৯৮৭ সালে কিভাবে হয়।
অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি কখনও হাজিরহাট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পড়েনি। তার ব্যাপারে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আপনার জন্ম ( ইসমাইল হোসেন) ১৯৮৭ সালে অপরদিকে মেয়ের জন্ম ১৯৯৬ সালে এমন প্রশ্নে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হালিম জানান, অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করেছি। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে কাগজপত্র নিয়েছি। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রির্পোট জমা দিবো।