লালমোহন পল্লী বিদ্যুত কর্মী আসাদের রাম রাজত্ব! দিশেহারা গ্রাহকগন - (পর্ব-২)

লালমোহন বিডিনিউজ: লালমোহন উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসটি এখন একজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের রাম রাজত্বে পরিণত হয়েছে।
তার অদৃশ্য ক্ষমতা বলে চলছে পুরো অফিস। তার হুকুম ছাড়া চলে না অফিসের চেয়ার টেবিল ও।
জানা যায়, লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আসাদ বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের সাথে তার ধার্যকৃত টাকা না দিলে অশোভণীয় আচরণ করে। গ্রাহকরা তার কাছে যেনো নাচের পুতুল ! সে যা বলবে, তাই মেনে নিতে হবে গ্রাহকদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র অফিসেরই এক স্টাফ জানান, আমাদের অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আসাদ সাহেব এর কাছে লালমোহনের গ্রাহকরা যেনো অসহায়। তার দাবী পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সে কোনো ফাইলে স্বাক্ষর করেন না।
ঐ স্টাফ আরো জানান, কিছু দিন আগে লালমোহন উপজেলার তালতলা এলাকার মাদ্রাসা লাইনের ট্রান্সফর্মাটি নষ্ট হয়ে গেলে সেখানকার গ্রাহকরা আসাদ সাহেবকে বিষয়টি বলেন।
তাদের কাছ থেকে ট্রান্সফর্মা পরিবর্তনের বাবদ ১৩ হাজার টাকা দাবী করেন তিনি। অবশেষে তারা অনেক অনুরোধ করে ৮ হাজার টাকা দিয়ে ট্রান্সফরমা পরিবর্তন করেন।
অন্যদিকে লালমোহন ইউনিয়নের মিয়ারহাট থেকে কালিরটেক পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ এবং মিটার লাগানো আছে।
কিন্তু আসাদের ধার্যকৃত ৩৫ হাজার টাকা না দেওয়ায় সেই লাইনটি আজো চালু হচ্ছে না।
এ ঘটনায় সেখানকার গ্রাহকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করলে ও কোন কর্নপাত নেই আসাদের ।
ভূক্তভোগীরা জানান, সরকারি নিয়মে লাইসেন্সধারী ইলেকট্রেশিয়ান দ্বারা ঘর ওয়ারিং এর কাজ করার কথা থাকলেও তাদের সাথে আসাদের ভাগে মিলে না। বিধায় সে এলাকার কথিত ইলেকট্রেশিয়ানদের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে কাজ করার অনুমোদন দিয়েছেন।
তার রাম রাজত্ব থেকে আমরা বাঁচতে চাই।
আর কত সহ্য করতে হবে লালমোহনের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আসাদের শোষন নিপীড়ণ। তাই ভুক্তভোগী গ্রাহকরা আসাদের হাত থেকে বাঁচতে পল্লী বিদ্যুতের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে তার আপসারনের দাবী করছেন।
অপরদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসাদ জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা।

চলবে…………।