সোমবার, ৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি- (পর্ব-১)
লালমোহন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি- (পর্ব-১)
লালমোহন বিডিনিউজ, লালমোহন প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চলছে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি। লোডশেডিং আর দুর্নীতির যাতা কলে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা। ট্রান্সফরমার অভার লোড পরিবর্তন বিনামূল্যে করার নিয়ম থাকলেও ট্রান্স ফরমার আওতাধীন গ্রাহকরা ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা গুনতে হয়। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের দাপটে চলছে এসব অনিয়ম। ট্রান্সফরমার বিকল হলে অফিস থেকে কিনে আনতে হয়। মিটার স্থাপন বাবৎ প্রতি মিটারে ২ শত টাকা করে দিতে হয়। মিটার পাস হওয়া সত্বেও মিটার অফিসে পড়ে থাকে। ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের দাবীকৃত উৎকোচ পরিশোধ না করলে মিটার ট্রান্সফরমার কিছুই লাগানো হয়না। এমনি কী মাঝে মাঝে সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
এমন এক দুর্নীতির বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিক এনামুল হক রিংকু জানান, তার স¤্রাট ওয়েল মির নামের একটি প্রতিষ্টানের মাসিক বীল নিয়মিত দিয়ে আসছেন। গেলো জুনে তার বীল সম্পূর্ন পরিশোধ করা থাকলেও তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ১ হাজার টাকা পূর্ন সংযোগের জন্য দাবী করেন। তবে কেনো এই টাকা? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন সংযোগ বিচ্ছিন্ন্ করলে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। তার কাছ থেকে এধরনের জবাব পেয়ে সাংবাদিক এনামুল হক রিংকু অনেকটা বিচলিত হন।
তিনি আরো জানান, এর আগেও তার ওয়েল মিলের যে ৩ টি ট্রান্সফরমা দেওয়া বিকল হয়ে যায়। তখন তার কাছ থেকে একটি ট্রান্সফরমার জন্য ২০ হাজার টাকা নেন লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাগন। বর্তমানের তার ৩১-০৭-১৭ তারিখের বিদ্যুৎ বিলে দেখা যায়, তিনি মোট ৪৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন। যার প্রতি ইউনিটের ৭.৬৬ পয়সা করে ৪৫ ইউনিট বিদ্যুতের দাম এসেছে ৩৪৫ টাকা। কিন্তু বিভিন্ন ভাওতাবাজীতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিল দাড় করিয়েছে ৭৭২ টাকায়। তার উপরে আবার জরিমানা অথবা ক্ষতিপূরনের কথা বলে ২ হাজার টাকাসহ মোট ২৭৭২ টাকা বিল করা হয়। তিনি বলেন আমাদের সাংবাদিকদের সাথেও যদি তারা এধরনের আচারণ করেন তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থাটা কী? আমরা তাদের এই রাম রাজত্ব থেকে বাঁচতে চাই।
এব্যাপারে লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সুরেন্দ্র কুমার সাহা জানান, ট্রান্সফরমার অভার লোড পরিবর্তন অথবা বিকল হওয়া স্থাপনে এবং মিটার লাগাতে কোনো টাকা দিতে হয় না। বিভিন্ন দালাল মারফত ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ এর গ্রাহক হয়রানীর ব্যাপারটি তিনি অবগত ছিলেন না। আরশাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
চলবে………….।