সোমবার, ৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যায় দুই জনের ফাঁসি
আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যায় দুই জনের ফাঁসি
লালমোহন বিডিনিউজ: বিশ্বজিৎ দাস পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
পাঁচ বছর আগের আলোচিত এ মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড পাওয়া চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং দুজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেছিলেন, তারা হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন।
পলাতক থাকা বাকি ১১ জনের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ফলে তাদের ক্ষেত্রে আগের সাজাই বহাল থাকছে।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের রায়ের শুনানি করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। রায়ে বলা হয়েছে, ‘এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড না হলেও আসামিদের সম্মিলিত হামলার ফলেই বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে।’
কিন্তু সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ‘গাফিলতির’ কারণে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা হাইকোর্টে এসে কমে গেছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তে আঘাতের যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আসামিদের জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বর্ণনার মিল পায়নি আদালত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিশ্বজিতের লাশের সুরতহাল করার ক্ষেত্রে সূত্রাপুর থানার এসআই জাহিদুল হকের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না, তা তদন্ত করে আইজিপিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আর ময়নতদন্ত করার ক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মাহফুজুর রহমানের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা তদন্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডেন্টাল কাউন্সিলকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
এই আদেশ ঠিকমত বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে মানবাধিকার বিষয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী মনজিল মোরসেদকে সময়ে সময়ে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত তারা পূর্ণাঙ্গ রায় দেখার পর নেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতক যে ১১ আসামির বিষয়ে হাইকোর্ট রায়ে কোনো মন্তব্য করেনি, গ্রেপ্তার হলে বা আত্মসমর্পণ করলে তাদের বিষয়ে পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।