চরফ্যাশনে জমে উঠেছে ঈদের বাজার
লালমোহন বিডিনিউজ, কামরুজ্জামান শাহীন,চরফ্যাশন : চরফ্যাশনে দেরীতে হলেও জমে উঠেছে ঈদ বাজার। মার্কেট বিপনীগুলোতে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড়। রাত-দিন এসব দোকানে ভারতীয় পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় পোশাকের বিকিকিনি হচ্ছে।
তবে দাম নিয়ে অভিযোগ নেই ক্রেতাদের। সাধ্যের মধ্যেই নতুন জামা কিনে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। পোশাকের দোকানে ভীড় হলেও কেনাবেচা নেই জুয়েলারী দোকানগুলোতে। এদিকে ঈদ বাজারে ক্রেতাদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষনিক পুলিশ নজরধারী রয়েছে।
বৃহস্প্রতিবার(২২জুন) চরফ্যাশন শহরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে জমে উঠেছে ঈদের কেনা-কাটা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগরমে মুখরিত বিপনীবিতানগুলো। বাজার ঘুরে জানা গেল, অন্য বছরগুলোতে আগাম ঈদের বাজার জমে উঠলেও শুধু মাত্র এ বছরই ২০ রোজার পর থেকে জমে উঠেছে চরফ্যাশনের ঈদ বাজার।
তবে বিগত বছরের চেয়ে এবছর কেনাবেচা অনেক বেশী বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। ঈদ মার্কেটে তরুনীদের পছন্দের তালিকায় বেহুলা, নাগিন, পানসু, রাখি বন্দন নামের ভারতীয় ড্রেস ছাড়াও ফেøারটার্চ নামের দেশী পোশাকের চাহিদা অনেক বেশী। এছাড়াও বড়দের জন্য সার্ট, প্্যান্ট পাঞ্জাবির সমরোহ দোকানগুলোতে। বিক্রি হচ্ছে ছোটদের নানা রংয়ের ও বাহারি নামের পোশাক। তবে পোশাকের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কোন মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেই। দাম নিয়ে সন্তুুষ্ট তারা।
ক্রেতা রাজিয়া, মিনারা এবং তাইরা বলেন, ঈদে পোশাকের দাম ঠিক রয়েছে সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করছি। এবার নতুন এবং বাহারি নামের পোশাকের সমারোহ রয়েছে। যার যার পছন্দ মত ক্রয় করছেন।এ বছরই নাগালের মধ্যে পোশাকের দাম থাকায় কেনা-বেচা অনেক বেশী বলে জানালেন বিক্রেতারা।
শহরের রব প্লাজার বৈশাখী বিপনীবিতানের মালিক বলেন, এবার ঈদে বেহুলা ও রাখি বন্দন বেশী চলছে। ছোট এবং বড়দের সকল কালেকশন আমাদের দোকানে রয়েছে।
এদিকে শুধু গার্মেন্টস দোকান নয়, কসমেটিকস, জুতা, টেইলারিং, ফুটপাদের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। সাধ আর সাধ্যের মধ্যেই নতুন কাপড় কিনছেন ক্রেতারা।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মু.এনামুল হক বলেন, ঈদে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদে কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষনিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মার্কেটগুলোতে যতক্ষন পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে ততক্ষন পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এদিকে ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কেনাবেচা আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।