শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে ইউপি মেম্বারের অপকর্মে প্রবাসীর স্ত্রীর সন্তান প্রসব ।
লালমোহনে ইউপি মেম্বারের অপকর্মে প্রবাসীর স্ত্রীর সন্তান প্রসব ।
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিন ফরাজগঞ্জের বর্তমান মেম্বারের অপকর্মে ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর অবৈধ সন্তান প্রসবের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায় বসন হাওলাদার বাড়ির ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নাসিম একই এলাকার কালা মিয়ার বাড়ির ওমান প্রবাশী হাসিমের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে সে সন্তান সম্ভ্রাব্য হয়ে পরলে নাসিম মেম্বারকে জানালে সে ঐ মহিলাকে বিবাহ করা সহ সন্তান কে নিজের পরিচয বড় করবে বলে আস্ব্যস্ত্য করে। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক ভাবে কানাঘুষা চলতে থাকে।
এব্যাপারে প্রবাসরি স্ত্রী বলেন আমার স্বামী গত দুই বছর পুর্বে বিদেশ যায়। বিদেশ যাওয়ার ২/৩ মাস পর এক রাতে নাসিম মেম্বার আমার ঘরে ডুকে আমার মুখ চেপে ধরে এবং আমার সাথে জোড় পূর্বক অবৈধ কাজ করে এবং কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেন। এর পর থেকে নাসিম মেম্বার আমার সাথে প্রায় রাতেই অবৈধ কাজ করে এবং আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করার আস্বাস দেয় এবং আমাকে সরকারি চাউল সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিতে থাকে।এর কয়েক মাস পর আমার গর্ভে নাসিম মেম্বারের সন্তান আসলে আমি তাকে বললে সে আমার সন্তানকে তার পিতৃ পরিচয দিবে বলে । গত ১৪ ডিসেম্বর আমার পেটে ব্যাথা উঠলে সে আমাকে পেষকার হাট সেবা মেডিকেলে নিয়ে যায় ।আমার সন্তান জন্ম হলে সে সাতবাড়িয়া আমার ভাইয়ের বাসায় সন্তান রেখে আসে এবং তার পর দুই দিন আমাকে ফোন করে সন্তানের খোজ কবর নেয়। কিন্ত ঘটনা জানাজানি হলে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে পালিয়ে চলে যায়।
এব্যাপারে নাসিম মেম্বারের বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যাবহ্রত দুটি মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। অন্য দিকে মেম্বারের স্ত্যী বলেন, আমার স্বামী সম্পূনৃ নিদোর্ষ। তাকে ফাসাঁতে একটি চক্র আমার স্বামীর বিরুদ্বে বদনাম রটাচ্ছে।
তিনি সত্য প্রমান না করে কেন পালিয়েছে এমন প্রশ্ন কররে মেম্বারের স্ত্রী কোন সদ উত্তর দিতে পারেনি। অন্যদিকে প্রবাসী হাসিম সংবাদ শুনে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সংবাদ শুনা যাচ্ছে। বর্তমানে ঐ মহিলা নাসিম মেম্বারের স্ত্রীর স্বীকৃতি সহ সন্তানকে তার পিতৃ পরিচয় দেওয়ার দাবি নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের দুয়াওে দুয়াওে ঘুরছে।
এব্যাপারে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সেলিম মৃর্ধার কাছে জানতে চাইলে সে বলেন আমি এব্যাপারে কোন কিছু শুনি নাই তাই কোন মন্তব্য করবো না।