শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে কর্তৃক দঃ আইচা’র হোন্ডা চালক কে অপহরন করে মুক্তিপন দাবী
লালমোহনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে কর্তৃক দঃ আইচা’র হোন্ডা চালক কে অপহরন করে মুক্তিপন দাবী
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর ছেলে কর্তৃক দঃ আইচা থানাধীন মোঃ রাসেল (২৮) নামের এক হোন্ডা চালক কে অপহরন করে মুক্তিপন চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দঃ আইচা থানা এলাকার চর মানিকা ২নং ওয়ার্ড এর মোঃ শাহজাহান সর্দার এর ছেলে হোন্ডা ড্রাইভার মোঃ রাসেল কে শুক্রবার সকালে লেতরা বাজার থেকে লালমোহন আসার উদ্দ্যেশে ভাড়া করে লালমোহন উপজেলার চরভূতা হরিগঞ্জ তেলী বাড়ির মোঃ রিপন ।
হোন্ডা চালক রাসেল হরিগঞ্জ এলাকায় এসে পৌছালে যাত্রীবেশি রিপন তার সহযোগী চরভূতা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ সুমন কে সাথে নিয়ে হোন্ডা চালক কে আটক করে তার বাড়িতে ফোন দিয়ে বিশ হাজার টাকা দাবী করে ।
হোন্ডা চালক রাসেলের স্ত্রী জানান, রিপন ও সুমন আমাদের কে ফোন দিয়ে বলে আপনার স্বামীকে আমরা আটক করে রেখেছি । সওদাগর চৌমুহনী এসে আমাদের কে টাকা দিয়ে আপনার স্বামীকে নিয়ে যান । পরবর্তীতে আমরা লালমোহন এসে পৌর এলাকার স্থানীয় আত্মীয়দের কে সাথে নিয়ে আমার স¦ামীকে খোঁজ করতে সওদাগর চৌমুহনী এসে বিষয়টি স্থানীয়দের কে জানালে তারা বলেন এখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি ।
পুনরায় অপহরনকারীদের ফোন আসলে আমরা সওদাগর চৌমুহনী এলাকার স্থানীয়দের কে দিয়ে রিসিভ করিয়ে জানতে পারি তারা মুগুরিয়া বাজার এলাকায় আমার স্বামীকে আটক রেখেছে ।
তখন আমরা মুগুরিয়া এলাকায় গিয়ে অপহরনকারীদের ফোন দিলে তারা আমার সাথে লোকজন দেখে রিপন আমার স্বামীকে জিম্মি করে অন্যত্র চলে যায় এবং সুমন কে একটি ঝোঁপের আড়ালে পালিয়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে লালমোহন সওদাগর চৌমুহনী এলাকায় নিয়ে আসে। এসময় অপহৃত রাসেল কে মুক্ত করতে সুমন কে চাপ প্রয়োগ করা হলে সুমন তার সহযোগী রিপনের কাছে ফোন দিলে রাসেল কে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
একপর্যায়ে বিকাল অনুমান ৫টার সময় অপহৃত হোন্ডা চালক রাসেল আহত অবস্থায় সওদাগর চৌমুহনী এলাকায় এসে পৌছান।
রাসেল জানান, অপহরণকারী রিপন আমাকে জিম্মি করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছে । একপর্যায়ে সে আমার হোন্ডা থেকে নেমে ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছিল এই সূযোগে আমি হোন্ডা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে আসি ।
পরে স্থানীয়রা লালমোহন থানায় খবর দিলে লালমোহন থানার এস আই সাহাবুল ,এ এস আই গনেস ,এ এস আই সওকত জামিল ও কনেস্টবল মনির গিয়ে, সুমন ও মোটর সাইকেলটি আটক করে লালমোহন থানায় নিয়ে আসে ।