সোমবার, ১১ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » নিপীড়করা নয়, প্রতিবাদকারীরাই এখন সরকারের টার্গেট — ন্যাপ
নিপীড়করা নয়, প্রতিবাদকারীরাই এখন সরকারের টার্গেট — ন্যাপ
রাশেল সিকদার ঢাকা : ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে পুলিশের বর্বোরচিত হামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা সরকার কোন প্রতিবাদই আর সহ্য করতে পারছে না। হামলা করে, নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চাইছে। গণদাবিকে অগ্রাহ্য করে, নির্যাতনের পথে গিয়ে কোন সরকারই বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।’
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগরীর সভা‘য় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, মোড়ল আমজাদ হোসেন, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আনছার রহমান শিকদার, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ শামিম ভুইয়া, তোফাজ্জল হোসেন ভানু, মোঃ বেল্লাল হোসেন, মোঃ আবুল কালাম সরদার, আবদুল্লাহ আল-মাসুম, আমিনা খাতুন মনি প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে পুলিশের সামনেই নির্যাতনকারীরা নারীদের ওপর নগ্নভাবে যৌন হামলা চালিয়েছিল। আর নিপীড়কদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে কয়েকজন ছাত্র নেতা আহত হয়েছিলেন। সচেতন মানুষ নিপীড়কদের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন, কিন্তু সেই সব যৌন নিপীড়কদের গ্রেফতার ও বিচারের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সরকার কিছুই করেনি। গতকালের হামলার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হলো- নিপীড়করা নয়, নির্যাতনের প্রতিবাদকারীরাই এখন সরকারের টার্গেট। তিনি নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনকে আরও তীব্র করার জন্য দেশের সখর রাজনৈতিক দল ও জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান ও অবিলম্বে আটককৃত ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, পুলিশ যৌন নিপীড়নকারীদের গ্রেফতার করতে না পারলেও যৌন নিপীড়নবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের নির্বিচারে লাঠিপেটা, জলকামান নিক্ষেপ ও গ্রেফতার করতে উৎসাহী। তিনি বলেন, পুলিশের এই ধরনের দায়-দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের কারণেই ১লা বৈশাখসহ বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে যৌন নিপীড়নকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এতে তারা বার বার যৌন নিপীড়নের মতো অপকর্ম করতে উৎসাহিত হয়।