শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » উপজেলা শিক্ষা অফিসারের গাফিলতি মনপুরায় বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারলোনা ৮ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের গাফিলতি মনপুরায় বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারলোনা ৮ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী
লালমোহন বিডিনিউজ,সীমান্ত হেলাল, মনপুরা: ভোলার মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছন্ন উপজেলা মনপুরার ৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারলোনা। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর শনিবার সকালে সকল শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল স্ব স্ব বিদ্যালয়ে। কিন্তু বিনা নোটিশে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীই কেঁদেছে অঝোড়ে। সামনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছেন কেউ কেউ। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নেয়ার কারনে প্রচুর পরিমানে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
জানা যায়, সারাদেশে ২ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলেও দ্বিতীয় ধাপে ১০ ডিসেম্বর একযোগে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুধু এর ব্যতিক্রম হয়েছে মনপুরা উপজেলায়। অধিকাংশ শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের গাফিতলিকেই দুষছেন।
এছাড়াও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতার কথা উঠে এসেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষকের মুখে। স্থানীয় শিক্ষকদের দিয়ে প্রশ্ন করিয়ে পরীক্ষা নেয়ার নীতিমালা থাকলেও তিনি কারো কাছ থেকেই প্রশ্নপত্র আহবান করেননি। নিজের সুবিধা মতো পার্শ্ববর্তি বোরহানুদ্দিন উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেন। অন্যান্য উপজেলায় পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার কারনে ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্র দিয়েই পরীক্ষা নিতে হবে মনপুরার ৮ সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীর। এছাড়া নিজের সুবিধা মতো প্রেসে ছাপতে দিয়েছেন প্রশ্নপত্র। এব্যাপারে ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকরা জানতে চাইলে তিনি অভিভাবকদের সাথে অশোভন আচরন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। বিজয় দিবসের পূর্বে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ ডিসেম্বর। তবে পরবর্তী তারিখে আদৌ পরীক্ষা হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীদের মনে।
এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: মিজানুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেয়ার ইখতেয়ার আমাদের আছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি মনপুরার স্থানীয় শিক্ষকদেরকে দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরী করিয়েছি। তবে প্রেসের যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে প্রশ্নপত্র আনতে দেরী হচ্ছে।