বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে উৎকোচের দাবী পুরন না হওয়ায় অসহায় পরিবার কে পরকীয়ায় ফাঁসানোর অভিযোগ
লালমোহনে উৎকোচের দাবী পুরন না হওয়ায় অসহায় পরিবার কে পরকীয়ায় ফাঁসানোর অভিযোগ
লালমোহন বিডিনিউজ: লালমোহনে উৎকোচের দাবী পুরন না করতে পারার কারনে অসহায় একটি পরিবার কে পরক্রিয়ার জেড়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কুলচড়া এলাকার বারেক মিয়া বাড়ির আঃ বারেক এর ছেলে ওমান প্রবাসী মোঃ মাহে আলম এর ছেলে ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া মোঃ রাসেল এ সাথে মিসডকলের মাধ্যমে মোঃ আঃ রহিম নামের একজনার পরিচয় হয় । একপর্যায়ে রাসেল ও আঃ রহিমের সাথে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের সূত্র ধরে রাসেল এর বাড়িতে বেড়াতে আসে নোয়াখালী নিবাসী আঃ রহিম ।
রাসেল বলেন, আমি আবাসিক এ থেকে স্কুলে পড়ালেখা করি । বিগত ৪দিন আগে আঃ রহিম আমার বাড়িতে আসে । সে আমার মাকে মা বলে ডাকত এবং আমার বোনদের কে বোন বলে ডাকত ।
কিন্তু আমাদের এলাকার তাজল ইসলাম হাওলাদরের ছেলে রিয়াজ হাওলাদার, বাচ্চু মাঝির ছেলে লোকমান ও আবু সুফিয়ানের ছেলে রহিম সহ আরো কিছু লোকজন ষড়যন্ত্র করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমাদের মেহমান কে মারধর করে আমার মায়ের কাছ থেকে টাকা দাবী করে ।
আমার মা তাদের কে ৩০০০টাকা দিলে ও তারা পুনরায় আবার আমার মেহমান কে মারধর করতে থাকে । একপর্যায়ে আমার বড় বোন আকলিমা বেগম বাঁধা দিতে গেলে তারা আমার বোনের গায়ে ও হাত তোলে এবং বুধবার সকালে পুলিশে খবর দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের কথা বলে আমার মা ও মেহমান আঃ রহিম কে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে ।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার আকলিমা বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিবাহিতা আমার একটি সন্তান ও রয়েছে । আঃ রহিম আমার ছোট ভাই কে ভাই ডাকার সুবাধে আমাকে বোন এবং আমার মাকে মা বলে ডাকত । কিন্তু তারা ষড়যন্ত্র করে গতকাল রাতে হঠাৎ করেই আমাদের ঘরে এসে আমাদের মেহমান কে মারধর করে তার সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় । তারা আমার ছোট বোন তাছলিমা কে ও তারা মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে ১ নং ওয়ার্ড কুলচড়া এলাকার দফাদার কয়সর আহম্মদ বলেন, আঃ রহিম নামের ছেলেটি তার পরিচয় গোপন করে বলেছে তার মা বাবা এমন কি কোন আত্মীয় স্বজন নেই । এতে এলাকার লোকজন সন্দেহ করে হট্রগোল বাঁধায় । তাই আমি থানায় খবর দিয়ে ছেলেটিকে থানায় সোপর্দ করি। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি ও বিষয়টি স্বীকার করেন ।