মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » প্রতারক প্রেমিকের কান্ড! প্রেমিকা ঢাকা থেকে চরফ্যাশনে
প্রতারক প্রেমিকের কান্ড! প্রেমিকা ঢাকা থেকে চরফ্যাশনে
লালমোহন বিডিনিউজ ,চরফ্যাসন প্রতিনিধি : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের গোলাম ওয়ারেছ মন্টুর ছেলে মাহাফুজুর রহমান রনির প্রেমিক বিয়ের দাবীতে ঢাকার মিরপুর থেকে হ্যাপি (১৮) গতকাল সোমবার সকালে এসে অনশন করলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাটি ধামা-চাপা দিতে প্রথমে হ্যাপিকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-দুমকি প্রদান শেষে স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাইজু’র বাসায় নিয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে শশীভূষণ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) গোলাম মাওলা হ্যাপিকে উদ্ধার করতে গেলে লাইজু জানান, রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির হ্যাপিকে নিয়ে গেছে। সোমবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় পুলিশ যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবিরের বাসা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে কবিরকেসহ থানায় নিয়ে যায়। এ সময় হ্যাপি পুলিশের নিকট আইনগত সহায়তা চায় বলে থানার শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) গোলাম মাওলা জানান।
হ্যাপি জানান, ঢাকার মিরপুরে তাদের বাসায় মাহাফুজুর রহমান রনি প্রইভেট পড়ানোর সুবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাশ্ববর্তী মসজিদের ইমাম দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে প্রায় ৬ মাস ভিন্ন বাসা নিয়ে সংসার করে। ইতিমধ্যে মাহাফুজুর রহমান রনির পরিবার পরিকল্পনা রসুলপুর ইউনিয়ন পরিদর্শক হিসেবে সরকারী চাকরী হওয়ার পর সে ঢাকা ছেড়ে হ্যাপি’র সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে হ্যাপি ঢাকা থেকে শশীভূষণ রনির বাড়িতে চলে আসে। হ্যাপি শশীভূষণ আসার পর থেকে রনি গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাহাফুজুর রহমান রনি’র পিতা গোলাম ওয়ারেছ মন্টুকে ফোন করে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহির পন্ডিতের সাথে আলাপ করলে তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেনা বলে জানান।এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত হ্যাপি শশীভূষণ থানা হেফাজতে রয়েছে এবং হ্যাপির আত্মীয়-স্বজনরা ঢাকা থেকে শশীভূষণের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন বলে থানা সুত্র নিশ্চিত করেছেন।