মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » তজুমদ্দিন টু লালমোহন ভোগান্তির মূখে সাধারন জনগন, দৃষ্টি নেই কারো
তজুমদ্দিন টু লালমোহন ভোগান্তির মূখে সাধারন জনগন, দৃষ্টি নেই কারো
লালমোহন বিডিনিউজ ,সাদির হোসেন রাহিম তজুমদ্দিন : ভোলার তজুমদ্দিনের জনসাধারণ প্রতিদিন নানা কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে পাড়ি দিতে হয় প্বার্শবর্তী উপজেলা লালমোহনে। এই সুদূর যাতায়াতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। তজুমদ্দিনের কয়েক সহস্র মানুষের ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা-দীক্ষা,লেন-দেন, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয়াবলী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের জন্য একমাত্র নিকটবর্তী প্রাণ কেন্দ্র হয়ে দাড়িয়েছে লালমোহন। কিন্ত দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন তজুমদ্দিন থেকে লালমোহন যাতায়াতে পরপর চারটি বাহন পাড়ি দিয়ে পৌঁছতে হচ্ছে লালমোহন। বর্তমান সময়ে ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজার ধারাবাহিকতায় তজুমদ্দিন ১১টি পূজামণ্ডপে চরফ্যাশন,লালমোহন উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের আগন্তকেরা ভিড় জমাচ্ছেন। তারা এই যোগাযোগ ব্যবস্থার করুন কষ্টসাধ্য ভোঙ্গান্তীর কথা জানান। কয়েক মাস ধরে উপজেলার জনসাধারন কঠিন দূর্ভোগের স্বীকার, এদিকে কারো চোঁখ পড়ছে না বলে অভিযোগ যাত্রীদের যাত্রীরা যেমন ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে তদ্রুপ ভোগান্তীর স্বীকার কোনো অংশে কম নয় বলে জানান যাত্রীরা। তরুন প্রজন্মের পাশাপাশি বৃদ্ধ শ্রেণীর লোকদের ভোগান্তিতে হেঁটে, রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পাঁড়ি দিতে হচ্ছে গন্তব্যস্থলে। লাইন পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে জানা গেছে- হাজির হাট নামক বাজারে অটোচালিত বোরাক চালকদের সাথে যাত্রী উঠানো সংক্রান্ত বিষয়ে দুই পক্ষের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষের পর থেকে লাইনের গাড়ি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।পূর্বের সময়ে সরাসরি একটি গাড়ি পাড়ি দিয়ে লালমোহন পৌঁছতে সম্ভব হতো। বর্তমানে তজুমদ্দিন থেকে বোরাক যোগে দক্ষিন খাসের হাট,সেখান থেকে হাজির হাট,হাজির হাট থেকে দালাল বাজার,অতঃপর দালাল বাজার থেকে লালমোহন ইস্টেশনে যাত্রীরা পৌঁছতে প্রায় ২ঘন্টা সময় লেগে যায়।উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ চাঁরটি গাড়ি পরিবর্তন করে লালমোহনে গন্তব্য পৌঁছায়। এর মধ্যে এক বোরাক স্টেশন হতে অন্য বোরাক ইস্টেশনের দূরত্বে হাঁটতে হয় । এ বিষয়ে লালমোহন লাইন পরিচালনার লালু মিয়া জানান- বহুদিন থেকে লালমোহন থেকে তজুমদ্দিন লাইনে গাড়িতে পত্রিকা যাত্রী,মালামাল নিয়ে সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু আমাদের লাইনের গাড়িগুলোকে অটোচালিত বোরাক চালকেরা রাস্তা ক্রসে বাঁধা, লাইনের গাড়ি থাকা সত্যেও জোড়পূর্বক যাত্রী উঠিয়ে নেয় বোরাকে। এ ধরনের নানা বিষয় নিয়ে বোরাক চালকদের সাথে ঝগড়ার খবর প্রতিদিন আমাদের কাছে আসতো। কয়েক মাস আগে যাত্রী সংক্রান্ত বিষয়ে বোরাক চালকের সাথে গাড়ির ড্রাইভারের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টিতে বোরাক চালকেরা একজোট হয়ে তজুমদ্দিনে কোন গাড়ি ডুকলে ভাংচুরের হুমকি দেয়। তারপর থেকেই তজুমদ্দিন লাইন বন্ধ। তাছাড়া তাদের টানাহেছরার জন্য আমাদের লাইনের গাড়ি সীমিত যাত্রী পায় অধিকাংশ যাত্রী তারা নিয়ে নেয়। এভাবে আমাদের লাইন চালাতে হিমসীমের মাঝেও পরিচালনা হয়ে আসছিল। কাউকে এই বিষয় জানানোর প্রশ্নের জবাবে বলেন- আমরা তজুমদ্দিন লাইন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ,সেখানকার স্থানীয় চেয়্যারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর কে জানানো হয়। তারা বোরাক সমিতির সাথে মিটিং ডেকে ইহার সমাধান দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো কোন সাড়া দেয়নি বলে জানান লালু মিয়া।