রবিবার, ২ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাসনে ১০টি পূজা মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গা পূজার উদযাপনের প্রস্তুতি
চরফ্যাসনে ১০টি পূজা মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গা পূজার উদযাপনের প্রস্তুতি
লালমোহন বিডিনিউজ ,কামরুজ্জমান শাহীন,চরফ্যাসনা :উপকূলীয় এলাকা চরফ্যাসনে পূজা মন্ডপে মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনের চলছে সর্ব শেষ প্রন্তুুতি। এবছর চরফ্যাসন উপজেলায় মোট ১০টি পূজামন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে উপজেলার অধিকাংশ পূজা মন্ডপের প্রতীমা গড়ার মূল কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা রং করার কাজে চলছে ব্যস্ততা।
বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দূর্গাৎসবে দ্বিগুন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজকদের। এরপরও থেমে নেই কোন আয়োজন। হাতে মাত্র আর চার দিন বাকি। তাই রাত-দিন চলছে পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা বিভিন্ন রকমারী আলোক সজ্জার সাজানো হবে মন্ডপ ও তার আশপাশ। চলছে সাজ-সজ্জার ধুম। সবমিলিয়ে উৎসবের রঙে সাজছে পূজা মন্ডপগুলো।
উপজেলার কয়েটি পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শেষ পর্যায়ে কোন কোন মন্ডপে চলছে রংতুলির কাজ, ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ডপে চলছে উৎসবের ব্যাপক প্রস্তুুতি। আবার কোথাও চলছে সাজ-সজ্জা, প্যান্ডেল ও ডেকোরেশনের কাজ। অপরদিকে চলছে কেনা কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। জামা কাপড় তৈরি, কেনা-কাটায় সরগরম বিপণীবিতানগুলো।
চরফ্যাসন পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় মোট ১০টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।বিগত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরীতে দ্বিগুন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানালেন আয়োজকরা।
রাজবাড়ি, ফরিদপুর ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রতিমা তৈরীর ভাস্কর শিল্পী বিষ্ণু তিনি জানান, এবছর তিনি চরফ্যাসনে ২/৩টি প্রতিমা তৈরীর কাজ করেছে। এর মধ্যে সর্বচ্চো ৯০ থেকে এক লক্ষ টাকা ও সর্বনিম্ম প্রতিমা তৈরীর মজুরী ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন।গত বছরের তুলনায় এ বছর রং, মাটিসহ সব জিনিষের দাম ও শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এব্যাপারে চরফ্যাসন পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অভিমন্দ দাস বলেন,দূর্গা পূজা পরিচালনার লক্ষ্যে সরকার থেকে প্রতি মন্ডপের জন্য পাঁচশত কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে তা অতি সামান্য। এবছর আমরা সরকারের কাছে অনুদান বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছি।
অপরদিকে চরফ্যাসন পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ দেবনাথ বলেন, আগামী ৭ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দেবী দুর্গার অকালবোধন শুরু হবে। পূজাকে সামনে রেখে পূজা উদযাপন পরিষদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পূজা কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবককর্মী নিয়োগ করা হবে। শান্তি পূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে চরফ্যাসন থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মু.এনামুল হক ও শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল বাসার, জানান, শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে উপজেলায় প্রতিটি মন্ডপে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূজা চলাকালীন দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন পূজা মন্ডপসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে বিশেষ নজরদারী রাখবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শারদীয় দূর্গাউৎসব পালনে পুলিশের সকল প্রকার সহযোগীতা করবেন।