মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » বরিশাল | শিরোনাম | সর্বশেষ » ছোট্ট শীর্ষেন্দুর চিঠির জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছোট্ট শীর্ষেন্দুর চিঠির জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিচার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর শীর্ষেন্দু। ছোট্ট এই শিশুটি মনে নীপেড়িত মানুষকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেয়ার আশা জেগেছে,এমনটাই জানান সে। কদিন আগেও যে শিশুটি তার পারিবার ও একান্ত প্রতিবেশিরা আর স্কুলের বারান্দার কাছে পরিচিত ছিল-আজ শিশু শীর্ষেন্দুকে দেখতে উপচে পড়া ভীড় জমেছে তার বাসা ও স্কুল প্রাঙ্গনে।
দিন-রাত পালাক্রমে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন তাকে অভিণন্দন-শুভেচ্ছা জানাতে বাসায় দৌড়ঝাপ করছেন। জাতীয় সংসদের হুইপও তাকে অভিণন্দন জানাতে ভুল করেনি। শীর্ষেন্দুকে নিয়ে শুধু এখানেই শেষ নয়, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে উচ্চ,নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত মহলে ও চলে আলোচনা।
আবেগের পাশা-পাশি সবাই কৌতুহলী হয়ে যান। পটুয়াখালীর সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া একটি শিশু দ্বারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন একটি পত্র প্রেরন করা কি করে সম্ভব? যা কিনা নিজের জন্য নয়। দেশ তথা দেশের উন্নয়নের জন্য এ লেখা। পাশা-পাশি শিশুটির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই উদারতা দেখে অনেকেই আবেগাপ্লুত চোখে বলেন এই তো জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কে বলেছেন বঙ্গবন্ধুর আমাদের ছেড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই প্রতিচ্ছবি।
সোমবার সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চিঠি তুলে দেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক একে এম শামীমুল হক সিদ্দিকী। এসময় উপস্থিত ছিলেন
জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা ও । শুধু সরকারী দলের প্রতিনিধিরা নয়, এক নজর শীর্ষেন্দুকে দেখতে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সমাগম ঘটে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শীর্ষেন্দুকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব খান মোশারফ তাকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। সেই সাথে শীর্ষেন্দুকে জনে-জনে আদর করে কোলে নিয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। যে যার ভাষায় তাকে শুভেচ্ছা অভিণন্দন জানান। কেউ কেউ বলেন ও আমাদের শীর্ষেন্দু। সোমবার রাত ৯টার দিকে শীর্ষেন্দুকে নিয়ে শহরের একেএম কলেজ কর্তৃপক্ষসহ অনেক সংগঠন একান্ত আলোচনায় বসেন।
প্রসঙ্গত, শীর্ষেন্দুর মা শিলা রানীর সাথে গত ১৩ আগষ্ট শীর্ষেন্দুর নিজ গ্রামের বাড়ী ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া থেকে পটুয়াখালী আসার পথে পায়রা নদী পাড় হতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার শিকার হয়ে ভয়ে ভীত হয়ে পরেন শীর্ষেন্দু। ১৫ আগষ্ট রাতে তার ভাষায় পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মানের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নিজ হাতে একটি চিঠি লিখেন। প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষেন্দুর চিঠি পেয়ে আনন্দিত হয়ে চিঠির জবাব ও পায়রা নদীতে ব্রিজ করে দেয়ার আশ্বাস দেন শীর্ষেন্দুকে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত চিঠি আনুষ্ঠানিক ভাবে শীর্ষেন্দুর হাতে তুলে দেয়া হয়।