মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » তজুমদ্দিনের চৌহমুনি এলাকার জনগনের দূর্ভোগের শেষ কোথায়
তজুমদ্দিনের চৌহমুনি এলাকার জনগনের দূর্ভোগের শেষ কোথায়
লালমোহন বিডিনিউজ ,সাদির হোসেন রাহিম, তজুমদ্দিন : ভোলার তজুমদ্দিনে ঘটে যাওয়া ঘূর্নিঝড় রোয়ানু ও উজানের চাপে এলাকার বসত ভিটা সহ বিধ্বস্ত হয় বেঁড়িবাধঁ। এলাকা বাসির তখন থেকে শুরু করে এখনো জনসাধারনদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তজুমদ্দিন সদর উপজেলার সম্মূখীন হতে সুইজ গেট (মাছ পাইকারি কেন্দ্র) যাওয়ার চলাচল পথ ও চৌহমুনি লঞ্চঘাটের নিকটবর্তী এলাকা যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে খালে রুপান্তরিত হয়ে দুর্ভোগের আলোক চিত্র ফুটে উঠেছে। যার ফলে নিত্য প্রয়োজনে লোকদের ছুটে যেতে হয় এপাড় থেকে ওপাড়ে। স্থানীয়দের পাশাপাশি জেলে বেপারীরা ছুটে যায় মাছ পাইকারী কেন্দ্রে। প্রতিদিন কয়েক হাজারো মানুষের চলাচল পথ আজ জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত খালে পরিণত হয়েছে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে নৌকা যোগে পাঁড়ি দিতে হচ্ছে সকলের। চৌহমুনি এলাকার নৌকা পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে চিকিৎসার জন্য আসা জোসনা, জাকিয়া তুলে ধরেন তাদের ভোগান্তির কথা। তারা জানান- যতটুকু জীবন অতিবাহিত হয়েছে কখনো নৌকায় উঠিনি, জীবনের এই প্রথম নৌকায় তাও ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে পাড় হলাম। নৌকায় উঠে অনেকক্ষণ সময় ধরে যাএীর জন্য অপেক্ষার পর নৌকা ছাড়ে, অন্যদিকে নৌকায় প্রথম উঠার কারনে খুব ভয় হয়েছিল। মনে হচ্ছিল নৌকা ডুবে যাচ্ছে, এখন আবার মনের মাঝে ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে কিভাবে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরতে নৌকায় উঠবো। আবার, সেই নৌকা পাড়াপাড় কেন্দ্রে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে জানান পথচারীরা। পথচারিরা বলেন- মূল জায়গায় নৌকা থাকার পরেও সেখান থেকে অল্প কতটুকু অগ্রসর হয়ে কিছু ব্যাভিচারি মাঝিরা নৌকা নিয়ে দাড়িয়ে যাত্রিদের ওপাড়ে নেওয়ার উদ্দশ্যে ডাকতে থাকে। অতঃপর ওপাড়ে নিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া হাসিল করেন মাঝিরা। অনেকে মাঝিদের কুমন্ত্রা না বুঝে নৌকায় উঠে ব্যাভিচারি মাঝিদের সাথে ভাড়া নিয়ে ঝগড়া বারাবারি করেও দ্বিগুণ টাকা দিতে বাধ্য বলে অভিযোগ তুলেন অনেকে। অন্যদিকে তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে সুইজ গেট যেতে বর্তমানে নৌকা পাড়াপাড়ের ব্যবস্থার চিত্র। স্থানীয়, পথচারীদের পাশাপাশি যেখান দিয়ে পুরো উপজেলার বেশিসংখ্যক জেলেরা ব্যবসার খাতিরে নৌকা পাড়ি দিয়ে ভিড় জমাতে বাধ্য মাছ পাইকারি কেন্দ্রে যেতে। অনেক সময় কিছু যাত্রী থাকলেও পরিপূর্ণ যাত্রীর জন্য বসে থাকে বলে অভিযোগ জেলেদের। তারা বলেন- সঠিক সময় পাইকারি কেন্দ্রস্থল পৌঁছাতে ও সঠিক সময় বাজারে মাছ নিয়ে হাজির হতে পারছেনা বলে কঠিন হিমসীম খেতে হচ্ছে জেলেদের। এই দুর্ভোগের নিকটবর্তী এলাকার জনসাধারণ, পথচারী, জেলেরা পথ চেয়ে দিনগুনছে কবে তাদের দূর্ভোগ এই নৌকা পাড়ি থেকে মুক্তি পাবে।