আজ ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন
লালমোহন বিডি নিউজ ডেস্ক: আজভোলা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন-২০১৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে পুরানো কমিটিকে বিদায় দিয়ে গঠন করা হবে দেশের ঐতিয্যেহবাহী সংগঠন ভোলা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গটিত হবে। ভোলা সদর আসনের এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
শনিবার শহরের নতুন বাজার চত্বরে সকাল ১০টায় বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি, ও ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করবেন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদুল আলম আবিদ।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তৃতা করবেন। সম্মেলনকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক তোরনসহ কয়েকশ ব্যানার ও ফেষ্টুন টাঙানো হয়েছে। ছাত্রলীগের এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সর্বত্র যেন সাজসাজ রব পড়ে গেছে।
ইতিমধ্যে সভাপতি পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আরিফুল আলম, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ফাহাদের নাম শোনা যাচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, ভোলা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোঃ তৈয়্যবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসিফ মার্সেল, সাংগঠনিক সম্পাদক পাপন চৌধুরী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রিয়াজ, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ সুজন ও ভোলা পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কুতুব তালুকদার।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুক জানান, সম্মেলনকে সফাল্য মন্ডিত করার জন্য ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ করার জন্য ভোলা পৌর সভার সুযোগ্য মেয়র মো: মনিরুজ্জামান মনির ভাই এর দিক নির্দেশনায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল মমিন টুলু জানান, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছায়ে অবশ্যই তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, দলের প্রতি ত্যাগ, নেতাকর্মীদের সমর্থন, আদর্শের প্রতি অনুগ্যতসহ সংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনা করা হবে।
এদিকে সাধারন ছাত্রলীগকর্মীদের দাবি, দেশের প্রাচীন এই সংগঠনে যারাই আসুক না কেন তারা যেন অবশ্যই দলের আর্দশের প্রতি অনুগত, সাধারন ছাত্রদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবে এমনটাই আশা করেন তারা।