বুধবার, ৪ মে ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় থানায় অভিযোগ
লালমোহনে অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় থানায় অভিযোগ
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা দঃ প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে স্বামী পরিত্যাক্তার অনৈতিক কাজে বাঁধা দেয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের এবং পুনরায় মামলা দেয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ফাতেমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ১ নং ওয়ার্ড ফাতেমাবাদ এলাকার স্বামী পরিত্যাক্তা ৪ সন্তানের জননী ফরিদা বেগমের সাথে স্থানীয় বারেক মিয়া বাড়ীর আঃ বারেক মিয়ার ছেলে শফিউল আলমের সাথে দীর্ঘদিন পরকিয়া চলে আসছিল । পরকিয়ার ঘটনাটি ফরিদা বেগমের ছোট বোন জামাতা মোঃ এনামুল টের পেয়ে তার স্ত্রী খতেজা বেগম কে জানায় । খতেজা বেগম তার স্বামীর কথা বিশ্বাস না করায় ফরিদা বেগম ও তার পরকিয়া প্রেমিক শফিউল কে হাতেনাতে ধরতে ওৎ পেতে থাকে ।
গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় শফিউল ফরিদা বেগমের ঘরে ঢুকতে দেখে এনামুল তার স্ত্রী খতেজা বেগম, রতনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, আবু তাহেরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও কামালের স্ত্রী আরজু কে ঢেকে নিয়ে ফরিদা বেগমের ঘরে শফিউল কি করছে দেখতে বলেন ।
খতেজা বেগম, ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা ঘরের মধ্যে উঁকি দিতেই তারা আমাদের কে দেখে ফেলে উঠে দাড়িয়ে যায় । ফরিদা বেগম আমাদের বড় বোন তাই আমরা লজ্জায় কিছু বলতে পারিনি । এ সুযোগে শফিউল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ।
পাশ্ববর্তী বাড়ির কামালের স্ত্রী আরজু বলেন, ফরিদা বেগমের বোনেদের সাথে আমি ও ঘটনাটি দেখে ফেলি তাই পরের দিন ফরিদা আমাকে মারধর করে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন, শফিউলের কু-নজরের ফলে পাশের বাড়ির একজনের স্ত্রী খারাপ অপবাদ মাথায় নিয়ে আজ বাপের বাড়ি অবস্থান করছে । গত কয়েক মাস আগে ও স্থানীয় জহিরের বাড়ীতে এক পাগলীর উপর যৌন হয়রানী করে শফিউল ।
শফিউলের বড় ভাই রবিউল ও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি তাকে (শফিউল ) এসব অপকর্ম করতে বাঁধা দেই বলে সে ফরিদা বেগম কে দিয়ে লালমোহন থানায় আমার নামসহ স্থানীয় আবু তাহের মেস্তুরী, বাবুল মিয়া, এনামুল হকের নামে যৌন হয়রানীর নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে ।
এ ব্যাপারে ফরিদা বেগম ও শফিউলের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ও তাদের কে পাওয়া যায়নি ।
অপরদিকে অত্র এলাকার মহিলা মেম্বারের স্বামী হায়দার মিয়া বলেন, আমি বিষয়টি শুনে ফরিদা বেগম কে ঢেকে আনি । ঐ রাতে শফিউল ফরিদার রান্না ঘরের কাছে ছিল বলে স্বীকার করেছে ফরিদা বেগম। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি মিমাংসা করাই আগেই শুনেছি যে ফরিদা বেগম উল্টো কুকর্মের প্রত্যক্ষদর্শীদের নামে থানায় অভিযোগ করেছে ।
এ ব্যাপারে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আঃ কাদের বলেন, ফরিদা বেগমের চারিত্রিক মোটে ও ভাল নয় । শফিউলের সাথে তার ঘটনাটির ১০০% সত্যতা রয়েছে এবং এ সকল ঘটনার সঠিক বিচার না হলে সমাজ কলুষিত হয়ে যাবে । যারাই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হবে তারাই যদি আসামী হতে হয় তাহলে এসকল অপকর্ম রুখতে ভবিষ্যতে আর কেউ এগিয়ে আসবেনা ।