লালমোহনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষন ॥ অতপর… পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর হুমকি

লালমোহন বিডিনিউজ , লালমোহন প্রতিনিধি : লালমোহনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাদেঁ ফেলে মাদ্রসা পড়ুয়া ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে দীর্ঘ দিন যাবত অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ মিলেছে। অভিযোগ সূত্রে, উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে মেহের আলী হাওলাদার বাড়ির কামরুলের মেয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রাহিমা বেগমের (১৮) সাথে দীর্ঘদিন যাবত ফাতেমাবাদ গ্রামের শামসুউদ্দিন দোকানদার বাড়ির শামসুউদ্দিন মিয়ার বড় ছেলে নুরুন্নবীর(২২) সাথে প্রেম চলে আসছিল। সামসুউদ্দিনের বড় ছেলে নুরুন্নবী রাহিমাদের বাড়ির সামনে একটি দোকানে দীর্ঘ দিন যাবত মুদি ব্যবসা করত। মূলত রাহিমা-নুরুন্নবী জুটির প্রেমের সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে সেখান থেকেই। আস্তে আস্তে রাহিমা নুরুন্নবীকে বিশ্বাস করতে থাকে। অন্ধ বিশ্বাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুচতুর নরুন্নবী রাহিমার সাথে চালিয়ে যেতে থাকে তার অনৈতিক সম্পর্ক। কিশোর প্রেমের রেসে সম্পর্ক ততদিনে অনেকদূর গড়ায়। একপর্যায়ে রাহিমাকে বিয়ে করতে অস্বিকৃতি জানায় নুরুন্নবী । কিশোরী জুটির অনৈতিক প্রেমের বিষয়টি রাহিমার বাবা মা জানতে পারলে স্থানীয় শালিসদের ও সামসুউদ্দিন মিয়াকে জানায়। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন এলাকায় তোলপাড় চলতে থাকলে স্থানীয় শালিশরা মাত্র ১০ হাজার টাকার অর্থনৈতিক মধ্যস্থতায় বিষয়টি ধামাচাপ দিতে চায়। কিন্তু রাহিমা ও তার বাবা শামসুউদ্দিন মিয়া রাজি না হওয়ায় দফায় দফায় শালিসি বৈঠক করেও ব্যর্থ হয় স্থানীয় শালিসরা। অতপর…. এলাকার সচেতন মহলের চাপে ও নানা ভাবে রাহিমার পরিবারকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে তার অনুকূলে না আনতে পেরে স্থানীয় শালিশদের একটি কুচক্রি মহলের পরামর্শ অনুযায়ী এলাকা ছেড়ে পালায় নুরুন্নবী। অপরদিকে রাহিমা সংবাদকর্মীদের বলেন,“ আমার সব কিছু নুরুন্নবী নিয়ে গেছে। আমার বাবা মা আমার জন্য সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না। আমি হয়ত নুরুন্নবী কে বিয়ে করব না হয় এ দেশ ছেড়ে চলে যাব”। এব্যপারে নুরুন্নবীকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য প্রধান সম্ভব হয়নি। এদিকে গত ৫ ই এপ্রিল বরিশাল থেকে প্রকাশিত কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা সহ লালমোহন বিডি নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর রাহিমার পরিবারকে ধর্ষক নুরুন্নবীর পরিবার ভিটা থেকে স্থানীয় শালীসদের ঐ কুচক্রী মহলের সহোযোগীতায় উচ্ছেদের হুমকির মুখে ধর্ষিতা রাহিমার পরিবার এখন বাড়ি ছাড়া বলে সংবাদকর্মীদের মুঠোফোনে জানানো হয়।