শুক্রবার, ১ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে নির্বাচনী ব্যালট বাক্স নিয়ে তুলকালাম কান্ড কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের পরের দিন বাক্স উদ্বার
লালমোহনে নির্বাচনী ব্যালট বাক্স নিয়ে তুলকালাম কান্ড কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের পরের দিন বাক্স উদ্বার
লালমোহন বিডিনিউজ ,মিজানুর রহমান লিপু : লালমোহনে নির্বাচনী ব্যালট বাক্স নিয়ে তুল কালাম কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩১ মার্চ বদরপুরের হাজির হাট বাজারে ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা ১০ নং কেন্দ্রে নির্বাচনের পরের দিন কেন্দ্রের স্কুল কক্ষ থেকে ব্যালট বাক্স উদ্বার করা হয়েছে । ব্যালট বাক্স্রের খবর পেয়ে ২৯ ভোটে পরাজিত হওয়া মিরাজ হোসেন তার ৩/ ৪শ লোক নিয়ে হাজির হাট বাজারের কাছাকাছি পৌছলে বিজয়ী প্রার্থীর লোকজন বাধা দিলে সেখানে ব্যাপক সংঘর্ষের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফরিদুল হক তালুকদার উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামাল দেন । এদিকে শুক্রবার অনুমান সকাল ১১ টার দিকে লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল আরিফিন, লালমোহন সার্কেলের পুলিশের এ এস পি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা আমির খশরু গাজী , বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে ব্যালট বাক্স উদ্বার করে লালমোহন নিয়ে আসে। সরোজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত বৃহস্পতি বার ভোট গ্রহন কৃত ব্যালট বাক্সের মধ্যে একটি বাক্স কেন্দ্রে ফেলে আসে নির্বাচনী কর্মকর্তা। দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রিজাইডিং অফিসার লালমোহন সোনালী ব্যাংকের সিনিয়ার কর্মকর্তা মোঃ মেজবাহ উদ্দিন সোহাগের কারনে ব্যাপক সংঘর্ষের সৃষ্ট্রি সহ প্রানহানীর আশংকা ছিল বলে স্থানীয় লোকজন প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এদিন সকালে ব্যালট বাক্সের খবর পেয়ে দুপক্ষের মুখমুখি অবস্থান সহ কয়েক হাজার উৎসক জনতা গিয়ে ভিড় জমান। এদিকে নির্বাচনে সাধারন আসনের ২৯ ভোটে পরাজিত প্রার্থী মিরাজ হোসেন বলেন ভোট কারচুপী করে প্রিজাইডিং অফিসার ওমর ফারুককে বিজয়ী করেছেন ।এ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে তিনি ষড়োযন্ত করেছেন এবং সঠিক তদন্ত করলে তা বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন । তিনি আরো বলেন আমি এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসে তদন্তের আবেদন সহ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি । প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, আমি নির্বাচনী মালামাল রিটানিং অফিসে জমা দেওয়ার সময় একটি বাক্স কম দেখে সাথে সাথে রিটানিং অফিসারকে অবগত করলে সে বাক্সটি সকালে গিয়ে আনার জন্য বলেন ও আমাকে লিখিত দেন। প্রিজাইডিং অফিসারকে লিখিত কাগজ দেখাতে বললে সে তা দেখাতে অস্বীকার করেন। অন্যদিকে রিটানিং কর্মকর্তা আমীর খসরু গাজীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল নম্বরে ফোন করলে সে ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।