বুধবার, ২ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার লালমোহনে প্রধান শিক্ষিকা কতৃক সহকারী শিক্ষিকা লাঞ্চিত
ভোলার লালমোহনে প্রধান শিক্ষিকা কতৃক সহকারী শিক্ষিকা লাঞ্চিত
লালমোহন বিডিনিউজ,ভোলা দঃ প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে প্রধান শিক্ষিকা কতৃক সহকারী শিক্ষিকা লাঞ্চিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।জানা যায়, উপজেলার বদরপুর ৯নং ওয়ার্ড এলাকার পূর্ব চর কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানুর বেগম নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে তাদের ছবি করা বাবদ জন প্রতি ৫০টাকা করে উত্তোলন করেন। বরাবরের ন্যায় তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর ছবি ২০ টাকা ব্যায় করে বাকী টাকা আত্বসাৎ করতে গেলে সহকারীরা তাতে বাধা দিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার ক্রয় করার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলেন। প্রধান শিক্ষিকা তাতে রাজি না হয়ে উল্টো প্রতিনিয়ত তাদের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পযার্য়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী প্রতিদিনের মত সহকারীদের পারিবারিক দুর্বলতাকে উল্লেখ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে সহকারী শিক্ষিকা রাশিদা বেগম তাতে প্রতিবাদ করলে ব্যাপক উত্তেজিত সে বিদ্যালয়ের সভাপতি মিন্টু মিয়াকে ফোন করে বিদ্যালয়ে আনে। সভাপতি ফয়সালার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারী শনিবার সময় বেধে দিলেও তার সামনেই প্রধান শিক্ষিকা শাহানুর বেগম সহকারী শিক্ষক রাশিদাকে তার পায়ের জুতা দিয়ে আঘাত করে। প্রধান শিক্ষকের এরকম কান্ডজ্ঞানহীন ঘটনায় সভাপতি সহ সকল সহকারী শিক্ষকরা হতবাক হয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাশিদা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষিকার এমন আচরন সম্বন্ধে আমি, লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অন্যদিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি মিন্টু মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষিকা আমাকে খবর দিলে আমি বিদ্যালয়ে যাই এবং ঘটনার বিবরন শুনে ২০ ফেব্রুয়ারী ফয়সালার তারিখ দিলেও হঠাৎ করেই প্রধান শিক্ষিকা আমার সামনে কান্ডজ্ঞানহীন কাজটি করে ফেলেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা শাহানুর বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন, সকল সহকারী শিক্ষিকাগন এক জোট হয়ে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে । এদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, প্রধান শিক্ষিকা শাহানুর বেগম বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি, সমাপনীর সাটিফিকের্ট বিক্রি, উপবৃত্তি সহ বিভিন্ন খাতে টাকা উত্তোলন করে নিজে আত্বসাৎ করেন ।এছাড়াও বিদ্যালয়ের সরকারী বরাদ্বের টাকার কোন কাজ না করে আত্বসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । তিনি প্রতিনিয়ত ১২ টার পর বিদ্যালয়ে আসে ও কোন ক্লাস না করে সহকারীদের সাথে তার বাসার কাজের মেয়ের ব্যাবহার করতেন বলে সুত্রে জানাযায়। এব্যাপারে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,প্রধান শিক্ষককের এরকম আচারনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তার বিরুদ্বে দ্রুত বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে জেলা শিক্ষা অফিসে রিপোর্ট পেশ করেছি । এদিকে প্রাথমিক শিক্ষকগন যেখানে মানুষ গড়ার কারিকর সেখানে প্রধান শিক্ষিকার আচরন যদি এমন হয় তাহলে কোমলমতী শিশুরা একজন প্রধান অভিবাবকের কাছ থেকে কি শিখবে ? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের ।