শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার নেয়ামতপুর চরে এক রাখালকে অপহরণসহ ২০০ মহিষ লুট
ভোলার নেয়ামতপুর চরে এক রাখালকে অপহরণসহ ২০০ মহিষ লুট
লালমোহন বিডিনিউজ ,ভোলা প্রতিনিধি:চাঁদা না পেয়ে দৌলতখানের নেয়ামতপুর চর থেকে প্রায় দুই শতাধিক মহিষ রাতের আধারে লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা জমির আলী ও জসিম উদ্দিন নামের দুই বাথাইন্নাকে (মহিষের রাখাল) অপহরণ করে। শুক্রবার বিকালে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জসিম উদ্দিন ফিরে এলেও জামিরের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে মহিষ লুটের ঘটনায় দৌলতখান থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।
অপহরণকারীদের ট্রলার থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়ে ফিরে আসা রাখাল জসিম উদ্দিন জানান, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে লিটন, জাফর, ইউনুছ, ইউসুফ, ফারুক, লোকমানসহ মদনপুর চরের ২৫/৩০ জনের একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চরে হানা দেয়। তারা চরের রাখালদেরকে মারধর করে ফিরোজ বাগার ৬৫টি, নুরনবীর ৩০টি, জামালের ৩২টি, দুলালের ২২টি, সালাউদ্দিনের ১৩টি, আনোয়ারের ৪০টি মহিষ তাড়া করে উত্তর দিকে নিয়ে যায়। এ সময় তাদেরকে বাধা দিতে গেলে জসিম এবং অপর রাখাল জমিরকে অস্ত্রের মুখে ট্রলারে তুলে মদনপুর চরের দিকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সুযোগ পেয়ে জসিম উদ্দিন নদীতে লাফিয়ে পড়ে। পরে জেলেরা তাকে উদ্ধার করে।
মহিষের মালিক ফিরোজ বাগা জানান, মদনপুর চরের সর্দার জাফর পন্ডিতসহ একটি প্রভাবশালী গ্রুপ চরে মহিষকে ঘাস খাওয়ার জন্য চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় দুই শতাধিক মহিষ লুট করে নিয়েছে। এসময় জামালের মহিষের রাখাল জমির আলীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, চরের বিরোধকে কেন্দ্র করে মহিষগুলো নিয়ে মধুপুর চরে রাখা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।