মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » পে-স্কেলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা ও
পে-স্কেলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা ও
ঢাকা: জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশের পর তীব্র হতে শুরু করেছে আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব।
প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির নেতৃত্বে বৈষম্য নিরসনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে ২৬টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
বেতন কাঠামোয় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাদ দেয়ায় একই ব্যাচের বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে আর্থিক ও মর্যাদাগত পার্থক্য দেখা দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘোষিত পে-স্কেল থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাদ দেয়ার পাশাপাশি সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।
আর বিসিএস কর্মকর্তাদের নিজ স্বাক্ষরে বেতন উত্তোলনের অধিকার থাকলেও উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করার নামে উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে ইউএনওর অধীনস্ত করা হয়েছে। অন্য সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা এতে অসম্মানের শিকার হবেন। এসব বিষয়কে ‘আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ২৬ ক্যাডার।
বিসিএস সমন্বয় কমিটির প্রচার সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঘোষিত পে-স্কেলের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা লাভবান হলেও অন্য ক্যাডারগুলোর কর্মকর্তা ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা বৈষম্যের শিকার হবেন। এ বৈষম্য দূর করার দাবিতে আন্দোলন করছে ২৬ ক্যাডার।
পে-কমিশন প্রতিবেদন দেয়ার পর থেকেই আন্দোলন করে আসছেন ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ২০ ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে রয়েছেন তারা।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কালোব্যাজ ধারণ।
এছাড়া বুধবার সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন তারা। আগামি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কথা রয়েছে। পাশাপাশি ২৭-৩০ ডিসেম্বর প্রতিদিন ১ ঘণ্টার কর্মবিরতিও পালন করবেন তারা। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে লাগাতার কর্মবিরতির কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তারা।
বেতন স্কেলের বৈষম্য দূর করার দাবিতে আট দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটি।
এগুলো হলো- বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল এবং সরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার বৈষম্যের সিদ্ধান্ত বাতিল করা। বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিলের পাশাপাশি ইউএনওকে কর্তৃত্বদানমূলক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস স্মারক ও অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে সব ক্যাডার ও সার্ভিসে পদোন্নতির সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি এবং নিজস্ব ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসবহির্ভূত সব ধরনের প্রেষণ বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে।