শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » আওয়ামী লীগে থেকে মুজিব-সুমনের ত্রাস, এখন বিএনপি সাজার তোরজোর!।।লালমোহন বিডিনিউজ
আওয়ামী লীগে থেকে মুজিব-সুমনের ত্রাস, এখন বিএনপি সাজার তোরজোর!।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন প্রতিনিধি,লালমোহন বিডিনিউজ : মো. মুজিব এবং সুমন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষজনকে মামলা, হামলা, চাঁদাবাজি এবং ব্লাকমেইলিংসহ নানাভাবে হয়রানী করার। তারা ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকার বাসিন্দা। এরমধ্যে সুমন জড়িত ছিলেন লালমোহন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে আর মুজিব জড়িত ছিলেন পৌর যুব লীগের রাজনীতির সঙ্গে। আওয়ামী লীগের সময় প্রভাব বিস্তার করা এই দুই নেতা এখন বিএনপিতে ভেড়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে।
সুমন এবং মুজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিজের ক্ষোভের কথা জানান কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান রতন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ভোলায় বিএনপির একটি প্রোগ্রামে যাওয়ার দায়ে তারা আমার সঙ্গে থাকা জসিম নামে এক বিএনপি নেতাকে বেধড়ক মারধর করেন। এছাড়া সুমন এবং মুজিব আমার থেকে চাঁদা নেন। এমনকি আমার ছেলের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। এর কিছুদিন পর আবার পৌরসভার গুদিরপুল এলাকায় মুজিব ও সুমনের নেতৃত্বে আমাকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। তখন আমি লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিই। আমার অপরাধ ছিল কেনো আমি বিএনপি করি।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমার ওয়ার্ডের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাশেম মিয়াকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে হয়রানী এবং মারধর করেছেন মুজিব এবং সুমন। তাদের অত্যাচারে তখন এলাকা ছাড়তেও বাধ্য হন তিনি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তারা এমন অনেকের সঙ্গেই হামলা, মামলা এবং চাঁদাবাজি করে বেড়াতেন। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই মুজিব আর সুমন এখন বিএনপি সাজার তোরজোর চালাচ্ছেন। আমি একজন বিএনপিকর্মী হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে অনুরোধ করবো- এই মুজিব এবং সুমনকে যেন কোনোভাবেই বিএনপিতে স্থান না দেওয়া হয়।
এই মুজিব এবং সুমনের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বেশকিছু অভিযোগ পান কালমা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফারুক মাল। ওইসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে ফারুক মালকেও নানানভাবে হয়রানী করেন মুজিব এবং সুমন। ফারুক মাল জানান, মানুষের কাছে চাঁদাবাজি, সুদের কারবার ও ব্লাকমেইলিং ছিল তাদের পেশা। এসবের টাকায় মুজিব এবং সুমন এলাকায় লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সুরম্য বাড়ি করেছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর বিচার করার দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের ব্যাপারে মো. সুমন বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আমার ওপর অনেক হামলা এবং অত্যাচার চালানো হয়েছে। যার জন্য একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। তবে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সবগুলোই ভিত্তিহীন।
অন্যদিকে মুজিবের বিরুদ্ধে হামলা, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করিনি। তবে আমার চলাফেলা ছিল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে। কারণ তিনি আমাকে ভাই ডেকেছেন। তবে যেই রতন অভিযোগ করেছেন, তিনি এবং তার ছেলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।