শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » সাকিন লঞ্চের তালাবদ্ধ কেবিন থেকে যাত্রীর মালামাল চুরি!।।লালমোহন বিডিনিউজ
সাকিন লঞ্চের তালাবদ্ধ কেবিন থেকে যাত্রীর মালামাল চুরি!।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন ভোলা প্রতিনিধি : লঞ্চের তালাবদ্ধ কেবিন থেকে যাত্রীর মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকা টু নাজিরপুর, ভায়া লালমোহনগামী এমভি প্রিন্স সাকিন লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছেন ভুক্তভোগী যাত্রী।
ওই যাত্রী নাম মজিবর রহমান, তিনি লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের পাঁচ নাম্বার ওয়ার্ড চর ছকিনা গ্রামের বাসিন্দা।
স্ত্রীকে শুক্রবার বিকেলে এমভি প্রিন্স সাকিন লঞ্চযোগে ঢাকা থেকে লালমোহনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। এ সময় নির্ধারিত যাত্রী কেবিন না পেয়ে লঞ্চের তিনতলায় স্টাফ মিরাজের কেবিন ভাড়া নেই। লঞ্চ ছেড়ে দেয়ার পরে স্ত্রীকে লঞ্চের কেবিনে রেখে পানির জন্য নিচে যাই।
তিনি আরো বলেন, লঞ্চের কেবিনে তালা মেরে কাছেই একটি বসে ছিলো আমার স্ত্রী। কিছুক্ষণ পর পুনরায় কেবিনে ঢুকতে গিয়ে লাগানো তালাটিকে উল্টো করে লাগানো এবং কেবিনের জানালা সামান্য খোলা দেখতে পায় আমার স্ত্রী। পরে কেবিনে ঢুকে দেখেন, ভেতরে বড় দুইটি ব্যাগের মাঝখানে রাখা ব্যানিটি ব্যাগটি নেই।
মজিবর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি এসে কেবিনের লোকদের ডেকে বিষয়টি জানাই। ব্যাগগুলো জানালা থেকে এতটা দূরে এবং জানালা এতো ছোট যে, কেউ ভিতরে না ঢুকে ব্যাগ চুরি করা অসম্ভব। তাছাড়া, লঞ্চের স্টাফদের কাছে কেবিনের তালার একাধিক চাবি রয়েছে।
তাই লঞ্চ স্টাফদের যোগসাজশে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মজিবর।
মজিবর রহমান বলেন, ব্যানিটি ব্যাগে স্বর্ণের কানের দুল, গলার চেইন, ঝুমকা, কানের রিং, নাকফুলসহ প্রায় দেড় ভরি স্বর্ণ, রুপার একজোড়া নুপুর ও নগদ সাড়ে ষোলো হাজার টাকা ছিলো। বিষয়টি রাতেই লালমোহন থানায় জানিয়েছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী মজিবর রহমান।
এদিকে স্টাফদের যোগসাজশে চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে সাকিন লঞ্চের স্টাফ মিরাজ বলেন, ওই কেবিনের জানাল যে পরিমাণ খোলা ছিলো, সেটুকু দিয়ে যে কেউ চুরি করতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে সাকিন লঞ্চের ইন্সপেক্টর সফিক এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।
এমভি প্রিন্স সাকিন লঞ্চের মালিক ফিরোজ মিয়া বলেন, সদরঘাটে এমন ঘটনা এখন অহরহ চলছে। ঘাটে থাকাকালীন যাত্রীদের অসচেতনতায় লঞ্চে এমন ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার আমাদের নয়। তবুও লঞ্চের স্টাফরা আসলে তাদের কাছ থেকে জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করবো।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।