সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় পিঠা উৎসবে প্রতিযোগিতার রেজাল্ট পাল্টে বির্তকিত করায় তীব্র প্রতিবাদ ও উত্তেজনা
ভোলায় পিঠা উৎসবে প্রতিযোগিতার রেজাল্ট পাল্টে বির্তকিত করায় তীব্র প্রতিবাদ ও উত্তেজনা
লালমোহন বিডিনিউজ,ভোলা প্রতিনিধি :ভোলা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে রবিবার রাতে লেডিসক্লাব প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে। এত সুন্দর উৎসবটিকে বিতর্কিত করা হয়েছে প্রতিযোগিতায় নগ্ন পক্ষপাতিত্ব ও অনিয়ম করার ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দেয়। আর এতে উপস্থিত সবাই বিচার কার্যক্রমের এই নগ্নতাকে ধিক্কার জানিয়েছেন। সামান্য এই বিচারে যদি নিরপেক্ষ থাকতে না পারেন তা হলে তারা কীভাবে দেশ ও জাতির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডে নিরপেক্ষ আর নির্মোহ থাকবেন ?
সংশ্লিষ্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলে পাওয়া এক চিরকুট রেজাল্টসিটে থেকে দেখা যায় প্রাতিযোগীদের মধ্যে শায়লা ৬৭, আজমিরীকে ৬৭, শাহীন ৬৬, স্বপ্না ৫৮, সাথীর ফলাফলে কাটাকাটি সেখানে দেখা যায় ২১+২৮+২১= ৭০, পরবর্তীতে ২৮কে কেটে ২৪ করা হয় এবং ৭০কে কেটে ৬৬ করা হয়। এ ছাড়া মসৃণ ৫৯, রেভিনিউ ৬০ এবং চিফ ৬০ পেয়েছে। এমনকি স্বপনার সম্বরও কাটাকাটি করা হয়।
ফলাফল অনুযায়ী বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু প্রথম স্থান হওয়ার খবর পেয়ে সাথীর তৈরী পিঠা খেয়ে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু জেলা প্রশাসক মো: সেলিম রেজা যখন ফলাফল ঘোষণা করেন তখন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। প্রথম স্থান ঘোষণা করা হয় ৬৭ পাওয়া আজমিরীকে, দ্বিতীয় করা হয় ৬৭ পাওয়া শায়লাকে এবং তৃতীয় ঘোষণা করা হয় ৬৬ পাওয়া শাহীনকে। প্রথম স্থান অধিকার করা সাথীর কোথাও স্থান হয়নি। এ ঘটনার পরপরই ওই রেজালসিটের ওই চিরকুটটি (কাগজটি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রত কুমার সিকদারের হাতে যাচাই বাছাই করার জন্য দেয়া হলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি। এ ঘটনায় লেডিসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার অনুষ্ঠানস্থলেই তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। উল্লেখ্য, বিচারকবৃন্দ ছিলেন ভোলা আবদুর রব স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, লিপিয়া খানম, এ্যাড. জান্নাতুল ফেরদাউস ও সুবর্ণা সরল রেখা।