রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | বোরহানউদ্দিন | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ‘নিয়াইজ্যা তোরেও কোপামু, মুরশিইদ্যা তোরেও কোপামু’!
‘নিয়াইজ্যা তোরেও কোপামু, মুরশিইদ্যা তোরেও কোপামু’!
লালমোহন/বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিনে নাম সর্বস্ব অনলাইন ও পত্রিকার পরিচয়দানকারী তথাকথিত এক নারী সাংবাদিকের হুমকিমূলক একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে মিলি সিকদার নামে ওই নারী অপর দুইজন সাংবাদিককে মোবাইলে ‘নিয়াইজ্যা তোরেও কোপামু, মুরশিইদ্যা তোরেও কোপামু, যেয়ানে পামু হেয়ানে কোপামু’ বলে হুমকি দিয়েছে। এছাড়া পুরো ভিডিওতে সে নোংরা ভাষায় গালি দিচ্ছে ওই সাংবাদিককে। মিলি সিকদারের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। বিয়ে হয় লালমোহন উপজেলার রায়চাঁদ গ্রামে।
জানা গেছে, বোরহানউদ্দিনের মেহেদী হাসান মোর্শেদ ও দৌলতখানের নিয়াজ মাহমুদ জয় এর সাথে মিলি সিকদারের সাংবাদিকতা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের রেশ ধরে শনিবার মিলি সিকদার মেহেদী হাসান মোর্শেদের মোবাইলে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালি দেয় এবং যেখানে পাবে সেখানে কোপানোর হুমকি দেয়। এই কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে মোর্শেদ ।
মেহেদী হাসান মোর্শেদ জানান, বোরহানউদ্দিনের একটি আইচক্রীম ফেক্টরীর মালিক মিলি সিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করলে তার নিউজ করা হয়। এই কারণে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এধরণের গালি দিয়েছে এবং হুমকি দেয়। মিলি সিকদারের বিরুদ্ধে বহু চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে বলেও তিনি জানান। মিলি সিকদারের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি ডিডি করেছেন বলে মোর্শেদ জানান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লালমোহন রায়চাঁদ এলাকার স্বামী তামিম হোসেনসহ প্রতিদিন বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় দাপিয়ে বেড়ায় তারা। প্রতিদিনই কোন না কোন ঠুনকো ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে লাইভ দিয়ে আসছে। মানুষজনকে নানাভাবে হয়রানী করে চাঁদা নেওয়াই তার কাজ বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন। ভোলা-২, ৩ ও ৪ আসনের সংসদ সদস্যদের নিয়েও তার ফেসবুকে অশালিন মন্তব্য করা হয়। যদিও প্রতিবারই সে তার ফেসবুক হ্যাক হয়েছে বলে মন্তব্য করে পার পেয়ে যায়।
মিলি সিকদারের এমন কর্মকান্ডে ভোলা জেলার মূল ধারার সাংবাদিকরা বিভ্রত অবস্থায় রয়েছে। ভোলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ অপু বলেন, সাংবাদিকতা পেশাকে সম্মানজনক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা দরকার। তথাকথিত যারা কার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন হওয়া দরকার।
লালমোহন-বোরহানউদ্দিন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জহুরুল ইসলাম হাওলাদার জানান, মিলি সিকদারকে নিয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা এসব তদন্ত করে দেখছি।