সোমবার, ২ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামীকে মামলায় জড়িয়ে পিতার নেতৃত্বে স্বামীরঘর লুটপাট করল স্ত্রী
ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামীকে মামলায় জড়িয়ে পিতার নেতৃত্বে স্বামীরঘর লুটপাট করল স্ত্রী
লালমোহন বিডিনিউজ :ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা চাচরা ইউনিয়নে স্বামীকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে পিতার নেতৃত্বে স্বামীর বসতঘরের মালামাল লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লালমোহন উপজলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড আলতাফ ডা: বাড়ীর আ:হাসেম মিয়ার ছেলে মো: বিল্লাল (৩৫) এর সাথে তজুমদ্দিন উপজেলার দ: চাচরা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মাও: বেলায়েত মিয়ার কন্যা রুমা বেগমের সাথে ১২ডিসেম্বর ২০০৭ বিবাহ হয় ।
বিবাহের পর থেকে বিল্লাল তার স্ত্রী কে নিয়ে নিজ বাড়িতেই থাকত । কিন্তু বিল্লালের স্ত্রী তার বাবা মা ভাই বোনের সাথে টুকিটাকি যে কোন কারনে খুবই দূর্ব্যাবহার করতো বলে বিল্লাল তার শশুর বাড়ীর নিকটে জমি ক্রয় করে বাড়ি করে সেখানেই থাকতে শুরু করে । বাবার বাড়ীর কাছে থাকার সুবাদে স্ত্রী রুমা বেগম আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে জানান বেল্লাল হোসেন ।
বেল্লাল আরো বলেন, রুমা বেগমের সাথে তার দুলাভাইয়ের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল । আমি মঙ্গল শিকদার বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দেয়ার সুযোগে প্রায়ই তার দুলাভাই আমার ঘরে আসতো । এমনই এক ঘটনা আমার ছেলে দেখে ফেলে এবং আমাকে জানালে আমি আমার স্ত্রীকে এসব অপকর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে বলি । এতে আমার স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেটাকে বেদড়ক মারপিট করে । আমাদের দুটি সন্তান থাকায় আমি সংসার টিকানোর স্বার্থে আমার স্ত্রীকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে ও সফল হতে পারিনি । যার ফলে সে তুচ্ছ কোন কারনেই আমার উপর ক্ষেপে থাকতো এবং বিভিন্ন সময় পরিকল্পনা করে কাছেই বাবার বাড়ী গিয়ে আমার নামে মারধর করার অভিযোগ এনে তার আত্মীয় স্বজন দিয়ে আমাকে মারধর করতো । এমনকি আমার এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহলকে ও হাত করে নিয়েছে আমার স্ত্রী রুমা । এসকল প্রভাবশালীদের কে দিয়ে ও আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদান করতো । এমনই এক মারধরের ঘটনায় আমি তাকে তালাক দেয়ার বলে আমার বাড়ী থেকে চলে আসি এবং ঘটনাটি আমাদের ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান কে জানাই । অপরদিকে আমার স্ত্রী তার বাবার ষড়যন্ত্রে আমার নামে ধলীগৌরনগর পুলিশ ক্যাম্পে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে যায় । পরবর্তীতে আমাদের চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় শালিসগন ফয়সালার কথা বলে আমাকে ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসে ।
কিন্তু আমার স্ত্রী তার বাবার ষড়যন্ত্রে ফয়সালায় বসার আগেই তজুমদ্দিন থানায় আমার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করে । মামলা নং-০৫ তারিখ ০৪-০৯-১৫ ।
এই মামলায় পুলিশ যখন আমাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় এরই মধ্যে আমার অনুপস্থিতিতে আমার বসতঘর খালি পেয়ে আমার স্ত্রী রুমা বেগম (২৮), তার বাবা মাও: বেলায়েত হোসেন, তার মা , চাচা আবুল বাশার, দুলাভাই আলাউদ্দিন ও ভাই মো: সোহেল আমার ঘরের টেবিলের ড্রয়ারে থাকা আমার দোকানের মালামাল ক্রয়ের জন্য জমানো প্রায় ৮০,০০০(আশি হাজার টাকা), ৫ আনা স্বর্নের কানের দুল এবং আমার কাছে এক আত্মীয়ের গচ্ছিত স্বর্নের কানের দুল,নাকের নথ ও নাক ফুল সহ আমার হাস মুরগী, কবুতর এবং আরো যাবতীয় মালামাল নিয়ে যায় ।
আমি জেল থেকে এসে আমার ঘরের এ অবস্থা দেখে পুনরায় আমার এলাকার স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব কে জানাই ।
বর্তমানে তারা আমার দুটি ছেলেকে আটক রেখে ছেলে দুটো মেরে আমার নামে হত্যা মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ।
লুটপাটের এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছূক একাধীক প্রতক্ষদর্শী জানান, বেল্লাল জেলে থাকার এই সময়ে তার স্ত্রীসহ শশুর বাড়ীর লোকজন ঘরের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যেতে আমরা দেখেছি এবং আমরা জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা আমাদের সাথে দূর্ব্যাবহার ও করে তাই আমরা আর কিছু বলার সাহস পাইনি ।
এ ব্যাপারে ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেল্লাল বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিল তার শশুর বাড়ী চাচরা ইউনিয়নে । বেলাল জেলে থাকার সুযোগে শশুর বাড়ীর লোকজন ঘরের মালামাল সরিয়ে ঘরে তালা দিয়ে দিয়েছে বলে শুনেছি ।
মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও ঘরের মালামাল লুটের ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী বেলাল হোসেন ।
অপরদিকে এসকল অপকর্ম বন্ধে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিয়ে সমাজকে কলুষিত মুক্ত করতে প্রশাসনের সূদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী ।