ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট ট্রান্সপোর্ট ভাড়ার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ || লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি : দ্বীপজেলা ভোলার বন্দর নগরী হিসেবে পরিচিত ইলিশা ফেরিঘাট। দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১টি জেলার সাথে সংযুক্ত এই ফেরিঘাট।

নিয়ম অনুযারী ফেরি কর্তৃপক্ষ গাড়ী লোড দিলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় কিছু দালাল।
ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় তিনটি ট্রান্সপোর্ট থাকলেও দুইটি ট্রান্সপোর্ট নামে মাত্র থেকে ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি করাই তাদের মুল কাজ।
ইলিশার বিআইডব্লিউটিসির কতিপয় দুই একজনের সাথে আতাঁত করে চাঁদাবাজদের গডফাদার ইলিশা ট্রান্সপোর্ট এর মালিক মিন্টুর লোকমান এর নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল গাড়ীর ড্রাইভারদের যোগসাজশে আগের গাড়ী পরে, পরের গাড়ী আগে উঠিয়ে দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ড্রাইভাররা।

সরজমিন ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে ড্রাইভারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেক সময় একেক রাজনীতিক নেতা এবং প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে মিন্টু বাহিনীর চাঁদাবাজি।
কাঁচা মালের গাড়ীগুলোই হলো মিন্টু বাহিনীর টার্গেট, বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার গাড়ীতে মিন্টু বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ৩/৪ হাজার টাকা কন্ঠাক করে ফেরিতে উঠিয়ে দিচ্ছেন।

আবুল হাসেম নামের এক ড্রাইভার বলেন, আমার গাড়ী নিয়ম অনুযারী আগে উঠার কথা কিন্তু মিন্টু ভাই আর লোকমান ভাই কে কিছু টাকা না দিলে উঠতে পারবো না।

কামাল হোসেন নামের একজন বলেন, ফেরির লোকে মিন্টু ভাইয়ের উপরে কিছুই বলে না।
নাম প্রকাশ না করে সত্ত্বে ইলিশা ঘাটের এক ব্যবসায়ী বলেন এই মিন্টু বাহিনীর বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখি করেও লাভ নাই, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে না।
পাশাপাশি দুইটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকার সত্ত্বেও তারা কি ভাবে এই চাঁদাবাজি করার সাহস পায়?

এই বিষয়ে ইলিশা ট্রান্সপোর্ট এর মালিক মিন্টুর সাথে যোগাযোগ তিনি বলেন আমি গাড়ি ভাড়া দেই তাই আগে গাড়ি তুলে দেওয়ার জন্য ফেরিঘাটে যাই।

ইলিশার বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক পারভেজ খাঁন বলেন, মিন্টু নামের একজন লোক আছে ট্রান্সপোর্টে, সে নাকি একটু ঝামেলা করে।

ভোলার নৌ পুলিশের ওসি সাহাজামান, বলেন ইলিশা ফেরিঘাটে স্থানীয় কিছু দালালদের সিন্ডিকেট চলে এমন খবর পাই কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিবো