মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর || লালমোহন বিডিনিউজ
ভয়ভীতির উর্ধ্বে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর || লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : গ্রামীণ জনগোষ্ঠী যেনো সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য, জেলা প্রশাসকদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সকালে তিনদিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের বলেন, সেবা নিতে এসে কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন। শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে।
দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আগের মতো সজাগ ও সচেতন থেকে ডিসিদের কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ায় দায়িত্ব বেড়ে গেছে উল্লেখ করে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
কোন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার যেনো দুর্ভোগে না থাকে সে বিষয়েও খোঁজ রাখার নিদের্শ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ।
ডিসি সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। পরে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ দেন।
বরাবরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করে বক্তব্য দেন। করোনার কারণে এবার ভার্চুয়ালি ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর এই সম্মেলন হচ্ছে। এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ২০ জানুয়ারি।
মাঠ প্রশাসনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) আরও ক্ষমতা চান। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নসহ একাধিক বিষয়ে বাড়তি ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাব এসেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। ৬৪ জেলার ডিসির পাঠানো প্রায় পৌনে তিনশ প্রস্তাব পর্যবেক্ষণ করে এমন চিত্রই মিলেছে। এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নানা বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।
‘জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব ও কার্যাবলি-২০১১’ অনুযায়ী, নির্দিষ্টভাবে ৬২টি বিষয় দেখভালের কথা উল্লেখ আছে। গত এক যুগে এসব দায়িত্বে পরিধি আরও বেড়েছে। সেই সঙ্গে লিখিতের বাইরেও সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়ে জেলা পর্যায়ে ডিসি এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ আছে। এসবের পরও সংশ্লিষ্ট জেলার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিল রেখে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাবও দিয়েছেন ডিসিরা। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আইন-নীতিমালা পরিবর্তনের সুপারিশ এসেছে তাদের কাছ থেকে।
বরাবরের মতো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিদের অধিবেশন রয়েছে। রয়েছে স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সাথে অধিবেশনও। তবে এগুলো সবই হবে ভার্চুয়ালি। আর প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে অধিবেশন তো রয়েছেই। সবশেষ ২০১৯ সালের ১৪ থেকে ১৮ই জুলাই ডিসি সম্মেলন হয়। এরপর করোনার কারণে ২০২০ ও ২১ সালে সম্মেলন হয়নি। এবারও কয়েক দফা পিছিয়ে হচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।