ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে মৃত্যুর শঙ্কা!

লালমোহন বিডিনিউজ, লালমোহন ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ও ধলীগৌর নগর এ দুই ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের পাটাওয়ারীর খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির দক্ষিণ মাথায় ভেঙ্গে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটি এখন চলাচলকারী যানবাহন ও জনসাধারণের জন্য মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধলীগৌর -নগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বয়ে যাওয়া বেতুয়া নদীর উপশাখা পাটাওয়ারীর খালের উপর চতলা এলাকার কুমারখালী ও উত্তর চরমোল্লাজী আজিজীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজটি দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ ভেঙ্গে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এ ব্রিজের উপর দিয়ে উপজেলা শহর থেকে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন হয়ে লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজারে শতশত যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করত।
কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন আর আগের মতো যান চলাচল করতে পারছেনা, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের চালকদের। স্থাণীয়রা ব্রিজটির উপর কিছুদিন কাঠ দিয়ে কোন রকমে হালকা যানবাহন পারাপার করলেও এখন তাও ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে ভাংগা ব্রিজটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিক্সা, ভ্যান, অটো ও মটর সাইকেল। পথচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ব্রিজটির উপর দিয়ে।

মাদ্রাসার শিক্ষক মাও মোঃ মোসলেহ উদ্দীন বলেন,
১ সপ্তাহ আগে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সন্ধায় বাজার করতে বেড়িয়েছিলাম, ব্রীজটি পার হবার সময় ভাঙ্গা গর্তের যায়গায় পরে গিয়ে আমি হাতে পায়ে মারাত্মক ব্যথা পেয়েছি, ভাগ্য ভালো হাত পা ছিলে গেলেও কোথাও ভাঙে নি । চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়ার পথে ব্রিজটি ভাঙ্গার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষের উচিত বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে তৈরী করার এ দাবী আমিসহ এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা আনিচল হক মিয়া বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জন বহুল ও যানবাহন যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে, ব্রিজটি ভাঙ্গার কারনে যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারে না, দীর্ঘ দিন ব্রিজটি ভেঙ্গে রয়েছে দেখার যেন কেউ নেই।
পথচারী সফিজল হক ও বজলুর রহমান বলেন, প্রতি নিয়ত এই ব্রিজ দিয়ে কয়েক শত মানুষ ও যাত্রী বাহী গাড়ী আসা যাওয়া করে থাকে । ব্রিজটা পূননির্মাণ বা মেরামত করা জরুরী।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৗশলী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ব্রিজটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্ধ দিয়ে ব্রিজটি শিঘ্রই মেরামত করা হবে ।