সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে এ্যাসিল্যান্ডের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে গেছে প্রতারকচক্র।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে এ্যাসিল্যান্ডের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা নিয়ে গেছে প্রতারকচক্র।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহনে এসিল্যান্ড’র নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসায়ীর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকচক্র।
সোমবার সকালে লালমোহন বাজারের মিতু বেকারী থেকে ৬০হাজার টাকা নিয়ে যায় চক্রটি। একই সাথে বাজারের মুসলিম হোটেল, আরাফাত হোটেল, আপ্যায়ন হোটেল ও আরজু হোটেল মালিকদের নাম্বারেও কল দিয়ে টাকা চেয়েছিল চক্রটি। তবে বিষয়টিতে তাদের সন্দেহ হলে তারা লালমোহন ভূমি অফিসে গিয়ে এ্যাসিল্যান্ডের দারস্থ হলে প্রতারণার বিষয়টি সম্মুখে আসে।
পরে ঘটনাটি তদন্তে নামেন লালমোহন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম।
এসময় প্রতারকের কবলে পড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালমোহন পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলামকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মফিজুল ইসলাম জানায়, সোমবার সকালে লালমোহন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয় দিয়ে পৌরসভার সচিব এর মুঠোফোনে কল দেয় প্রতারকচক্রের এক সদস্য। এসময় তাঁর কাছ থেকে পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মরত ব্যক্তির নাম ও নাম্বার নেয় চক্রটি।
পরে পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিয়ে নিজেকে লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয় দেয় ওই প্রতারক। এসময় তাকে বলা হয়, লালমোহন বাজারের কয়েকটি হোটেলের নামে মামলা হয়েছে। তাই ওইসব হোটেলগুলোতে গিয়ে মালিকের সাথে তাকে কথা বলিয়ে দিতে হবে।
প্রতারকের কথা মত বিশ্বাস করে বাজারের আরজু হোটেল, মুসলিম হোটেল, আরাফাত হোটেল, আপ্যায়ন ও মিতু বেকারীতে গিয়ে মালিকদের সাথে কথা বলিয়ে দেন তিনি।
পরে সু কৌশলে ওইসব হোটেল মালিকদের কাছ থেকে তাদের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে প্রতারকচক্র এবং পরে ওই নাম্বারে কল দিয়ে টাকা দাবি করে।
ইতোমধ্যে প্রতারকের কথায় বিশ্বাস করে অদৃশ্য মামলা থেকে রক্ষা পেতে চক্রের ০১৬১০৪৭৩০৩৭ এ নাম্বারে ৬০হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন মিতু বেকারী নামের প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে আরাফাত, মুসলিম হোটেলসহ অন্য মালিকদের বিষয়টি সন্দেহ হলে তারা এসিল্যান্ড অফিসে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তারা প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন।
এদিকে পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম নিজেই ওই চক্রের প্রতারণার শিকার হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা দাবী করার অভিযোগ পেয়েছি। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। জানা গেছে এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ। তিনি আরও বলেন যদি কেউ আমার নাম করে অর্থ দাবী করে বিষয়টি তাৎক্ষনাত আমাকে জানানোর অনুরোধ রইল।