বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহন সদর হাসপাতালের ডাক্তার মহিবুর রহমানের চিকিৎসার নামে বানিজ্য হাসপাতাল থেকে ফেরত দিয়ে চেম্বারে হয় চিকিৎসা
লালমোহন সদর হাসপাতালের ডাক্তার মহিবুর রহমানের চিকিৎসার নামে বানিজ্য হাসপাতাল থেকে ফেরত দিয়ে চেম্বারে হয় চিকিৎসা
লালমোহন বিডিনিউজ :লালমোহন সদর হাসপাতালের ডা: মো: মহিবুর রহমানের চিকিৎসার নামে বানিজ্য নিয়ে ক্ষুদ্ধ রোগী ও অভিভাবকদের প্রশ্ন তিনি ডাক্তার না কসাই । হাসপাতাল থেকে ফেরত দিয়ে চেম্বারে এনে চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড আত্তর আলী মিঝি বাড়ীর মো: নয়নের শিশু কন্যা অন্তরা (৫) নামের এক শিশুর আঙ্গুল কেটে গেলে দিশেহারা শিশুটির অভিভাবক লালমোহন সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে লালমোহন সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক্সের ডা: মো: মহিবুর রহমান এখানে চিকিৎসা হবেনা বলে ফিরিয়ে দেন ।
এমতাবস্থায় হতভাগ্য শিশুটির অভিভাবকের সাথে স্থানীয় একজনের যোগাযোগ হলে তিনি লালমোহন সদর হাসপাতালের ডা: মহিবুরের কথা বলেন । শিশুটির অভিভাবকগন ডা: মহিবুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে ডা: তাদেরকে লালমোহন হাসপাতালে যেতে মানা করে বলেন আমার চেম্বার সুমন ড্রাগ হাউজে আসুন ।
পরবর্তীতে তারা সুমন ড্রাগ হাউজে শিশুটিকে নিয়ে পৌছালে ডাক্তার সাহেব শিশুটিকে দেখে বলেন ওর আঙ্গুল জোড়া দিতে হবে এতে আমাকে তিন হাজার টাকা দিতে হবে । তখন আমরা অনেক মিনতি করে ডা: সাহেব কে আড়াই হাজার টাকায় রাজি করিয়েছি বলে জানান শিশুটির মা ।
পরবর্তীতে ডা: সাহেব শিশুটির আঙ্গুল জোড়া না লাগিয়ে আঙ্গুলটিকে কেটে ফেলেন এবং আমাদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা রেখে দেন । আমার শিশুটির আঙ্গুল জোড়া দেওয়ার কথা বলে আঙ্গুলটিকে কেটে ফেলেন আবার এজন্য আমাকে আড়াই হাজার টাকা দিতে ও বাধ্য করেন তিনি ।
অপরদিকে এ ব্যাপারে ডা: মহিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিশুটির আঙ্গুল জোড়া দেয়ার কথা থাকলে ও শিশুটির আঙ্গুলের যেহেতু রগ কেটে গিয়ে চামরার সাথে ঝুলে ছিল তাই আঙ্গুল জোড়া দেওয়া সম্ভব ছিলনা । এজন্য আঙ্গুলটিকে কেটে ফেলতে হয়েছে ।
চিকিৎসার জন্য রোগীর অভিভাবকদের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সূ-কৌশলে এড়িয়ে যান ।
অপরদিকে ডাক্তার জনরোষে পরে দেড় হাজার টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য হন বলে জানা গেছে ।
সূত্রে আরো জানা যায়, লালমোহন সদর হাসপাতালের শুধু একজন ডাক্তারই নন এমন একাধিক ডাক্তার সাহেব রয়েছেন যারা হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া সাধারন রোগীদের এক্সরে করানোর নাম করে পরবর্তীতে তাদের নিজস্ব চেম্বারে আসতে বলেন এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন ।
চিকিৎসা সেবা হোক ঝামেলাহীন ও দূর্নীতিমুক্ত এমনটাই দাবী করছেন লালমোহন উপজেলার ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ ।