সোমবার, ৩ মে ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » ‘এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় যেতে পারবে না’-ওবায়দুল কাদের।।লালমোহন বিডিনিউজ
‘এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় যেতে পারবে না’-ওবায়দুল কাদের।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : ঈদকে সামনে রেখে জনস্বার্থ বিবেচনায় আগামী ৬ মে থেকে সরকার শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহণ চালুর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে, বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৩ মে) সকালে, ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং কোনভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহণ সিটির বাইরে যেতে পারবে না। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোন গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। পরিবহণগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, পরিবহণ শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।
করোনা কখন কমে আবার কখন বাড়ে- তা বলা যায় না, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন কারণ নেই। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নিতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব ও শতভাগ মাস্ক পরিধান করতে হবে।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ অর্থ সাহায্যের প্রস্তাবে এবারের ঈদে ৩৬ লাখ পরিবারের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অর্থ সাহায্য পৌঁছে গেছে। যারা এই অর্থ বিতরণের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গতবারও অনেক অভিযোগ এসেছিলো এবং অনেককেই শাস্তি পেতে হয়েছে এমনকি অনেক জনপ্রতিনিধিদেরকেও কারাগারে যেতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে এবার এ ধরণের অপকর্ম এবং অর্থ নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলবে তারা গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে। এবার যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং যারা সাহায্য পাওয়ার যোগ্য শুধু তারাই পাবে, মুখচেনা লোকেরা নয়। গরীব মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে কোন অনিয়ম করলে কঠোর শাস্তি অনিবার্য।
মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফেনা তুললেও বিএনপিই এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ধারক ও বাহক বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রহণ করেছে শূণ্য সহিষ্ণুতা নীতি। বিএনপি নিজেদের শাসনামলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল, তাদের আমলে তারা দুর্নীতি বান্ধব ও দুর্নীতি সহায়ক ছিলো। এখন তারা তাদের সেই ব্যর্থতা ও দুর্নীতির পরায়নতা ঢাকতে সরকারের বিরুদ্ধে নানা সময়ে নানা কল্পিত অভিযোগ হাজির করে।