সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | চট্টগ্রাম | জেলার খবর | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » কক্সবাজারে গ্যারেজে আগুন নেভাতে গিয়ে মিললো ৬ লাখ ইয়াবা।।লালমোহন বিডিনিউজ
কক্সবাজারে গ্যারেজে আগুন নেভাতে গিয়ে মিললো ৬ লাখ ইয়াবা।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : কক্সবাজারের মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ ২২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। এসময় প্রায় পুড়ানো অবস্থায় ৩টি মোটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
রবিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টায় মহেশখালী পৌরসভা সিকদার পাড়া এলাকার জকরিয়ার পূত্র সালাহউদ্দিনের প্রাইভেটকার থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়ছে বলে নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই। উদ্ধার করা ইয়াবার মূল্যে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার চাচাত ভাই সালাহউদ্দিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তার প্রেক্ষিতে দুর্বৃত্তরা গত রাতে মেয়র মকছুদের সমর্থকের উপর গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন নুর হোসেন (৪০), কাউছার (৩০) ও ভূবন (৩৫)। তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে জানা যায়।
এই ঘটনার জের ধরে দুর্বৃত্তরা সালাহ উদ্দিনের গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা যায়। পরে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রাত ২টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে পাশে গোলাগুলির খবর পেলে মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় মহেশখালী থানা পুলিশ। পরে এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্দেহভাজন মাস্টারমাইন্ড সালাহউদ্দিনের সন্ধান করতে থাকে পুলিশ। ঘটনার কিছুক্ষন পর সালাহউদ্দিনের গ্যারেজে আগুন লাগার খবর পেলে তার বাসায় যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় গ্যারেজে আগুন জ্বলছে, সেটা দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিভালে তল্লাশি চালালে ইয়াবার সন্ধান পায়। গাড়ির পিছন থেকে অক্ষত অবস্থায় ৪ লাখ ২ হাজার ইয়াবা ও আংশিক পুড়ানো অবস্থায় ২ লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ মোট ৬ লাখ ২২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে কে বা কারা গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারিনি পুলিশ।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, মহেশখালীর ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ইয়াবা চালান উদ্ধার এটি। ইয়াবার উৎস ও কারবারের সাথে কে বা কারা জড়িত আছে তা বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।