শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়াল বৈঠক।।লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত ভার্চুয়াল সম্মেলনে দু’দেশের দুই সরকার প্রধান বৈঠকে যোগ দেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশা প্রকাশ করেন ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশ একসঙ্গে করোনার টিকা পাবে। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহামাররিতেও পারস্পরিক সম্পর্ক দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তরান্বিত করছে।’
সম্মেলনের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদি বিজয়ের ৫০ বছরে পদার্পণ করায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক গভীর করাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন বলে জানান নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ভারতকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে চায়, সেদিকে ভারতের সুনজর আছে এবং দু’দেশের সহযোগিতায় সেসব বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে, কোভিড মহামারি সামলাতে ভারতের পদক্ষেপের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ১৪ বিলিয়নের বেশি অর্থের প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে সহযোগিতা করা হয়েছে।’ ভারত-বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের উন্নয়র আরো গতিশীল হবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময়, আগামী বছর ২৬শে মার্চের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভার্চুয়াল বৈঠকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাক টিকিট উন্মোচন করেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিলাহটি ও ভারতের হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন ও হাতি সংরক্ষণ এবং দ্বিপাক্ষিক সহায়তা সম্পর্কিত সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। দু’দেশের সংশ্লিষ্টখাতের প্রতিনিধিরা নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিগুলোতে স্বাক্ষর করেন।
প্রথম চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সিওও ফোরাম গঠনে স্বাক্ষর করেন বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন এবং ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।
সমঝোতা চুক্তির আওতায় কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশ। এছাড়াও হাইড্রোকার্বন খাতে, ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম ফজলুল হক।
সমঝোতা চুক্তির আওতায়, বরিশালের লামচড়ি অঞ্চলে পয়ঃনিষ্কাশন কার্যক্রমে সরঞ্জাম সরবরাহ করবে ভারত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং দিল্লির জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সংরক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।