বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জাতীয় | ঢাকা | তথ্যপ্রযুক্তি | বিভাগের খবর | মুক্তমত | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আরো প্রণোদনা চায় পোশাক শিল্প উদ্যােক্তারা।।লালমোহন বিডিনিউজ
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আরো প্রণোদনা চায় পোশাক শিল্প উদ্যােক্তারা।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : অর্থনীতিতে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে নতুন করে আরো প্রণোদনা চান পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা।
করোনার প্রথম ধাক্কা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে সরকারের দেয়া প্রণোদনা কতটা কার্যকর হলো তার উত্তর খুঁজতেই রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়। গবেষক, অর্থনীতি বিশ্লেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সরকারের আমলারাও স্বীকার করেছেন নতুন প্রণোদনার দরকার আছে। তবে তার আগে দরকার চলমান প্রণোদনার প্রভাব বিশ্লেষণের। এসএমই খাত যে বঞ্চিত তাও স্বীকার করছেন সব মহল।
অর্থ সচিব তুলে ধরেন, প্রণোদনা প্যাকেজের নানা প্রাপ্তির দিক। দীর্ঘ আলোচনায় একটি বিষয়ে সবাই একমত, প্রণোদনার অর্থ যথাযথ ভাবে পেয়েছে তৈরি পোষাকখাতসহ কেবল বড় শিল্প। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে চাঙ্গা করতে কার্যকর এসএমই খাত ছিল বঞ্চনায় ।
সানেম নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আমরা গবেষনায় দেখেছি বড় এবং মাঝারি কিছু ক্ষেত্রে প্রনোদনা পেলেও ক্ষুদ্ররা এই সুবিধা পাচ্ছে না। ব্যাংকের অসহযোগিতা, প্রয়োজনের চেয়ে কম বরাদ্দ নানা কারণে তারা বঞ্চিত। এখন একটি নিরপেক্ষে পর্যালোচনা দরকার।
বিআইডিএস জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, করোনায় মাঝ বয়সি অনেক শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। এদের যাতে কর্মসংস্থান হয় এমন প্রনোদনা দেয়া উচিত। ক্ষুদ্র ঋণ যথাযথভাবে বিতরণ করা গেলে অভ্যন্তরিন চাহিদা তৈরি এবং কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
করোনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান। দ্বিতীয় ধাক্কার শুরুতে তাই এ নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরাও। বিজিএমইএ-এর সভাপতির দাবি ২০২১ এর জুন পর্যন্ত শ্রমিকের বেতন দিতে দরকার আরো প্রণোদনা।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, পোষাকের দামও কমিয়ে দিচ্ছে ক্রেতারা। সংকট থেকে উত্তরণে আগামী জুন পর্যন্ত পোষাক খাতের শ্রমিকদের বেতনের জন্যে বিশেষ সরকারি প্রনোদনা প্রয়োজন।
২১টি প্যাকেজে ঘোষিত ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার মধ্যে বিতরণ হয়েছে মাত্র ৫৫ ভাগ। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস মনে করেন, প্রণোদনা প্যাকেজের দুর্বলতা শোধরানোর এখনই সময়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অবশ্য প্রণোদনা প্যাকেজের তুলনা করলেন অর্থনীতির কোরামিন হিসেবে। তিনি বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সম্বলিত প্রায় ১ দশমিক ২২ লাখ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির জন্য এসব পদক্ষেপ খুবই প্রয়োজন ছিল।
তিনি আরও বলেন, এ সময়ে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে। প্রয়োজনে টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ীমূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। ফলে কঠিন পরিস্থিতিতেও দেশে কোনো পণ্যের সংকট হয়নি।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সম্ভাব্য ক্ষতি আমলে নিয়ে দ্রুত কর্মপরিকল্পনা তৈরির তাগিদও দিলেন মন্ত্রী ও আলোচকরা।